প্রাক্তন সুইস সামরিক কর্মী ইভেস রসি (Yves Rossy)। একসময় যখন তিনি জেট উইংপ্যাক নিয়ে উড়েছিলেন, তখন মানুষ ভাবতেও পারেননি যে এভাবেও উড়তে পারা যায়। এই প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী উড়ন্ত বাইকের বিষয়ে বলা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে জেটপ্যাক এভিয়েশন (Jetpack Aviation) সংস্থা মায়ম্যান অ্যারোস্পেস (Mayman Aerospace)। এর গতি ও পরিধি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। এটি প্রায় বিমানের গতিতে উড়বে।
মায়ম্যান অ্যারোস্পেসের মালিক ডেভিড মায়ম্যান জানিয়েছেন, এই হেলিকপ্টারের নাম রাখা হয়েছে স্পিডার। এটি আসলে একটি এয়ার ইউটিলিটি ভেহিকেল। অর্থাৎ, এটি অনেক উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ হেলিকপ্টার বড়, জটিল, ব্যয়বহুল এবং পাইলট ছাড়া উড়তে পারে না। ড্রোন কম ওজন বহন করে। পরিসর ছোট। তাই এই বাইকটি বেশি কাজে লাগবে। এতে আটটি জেট ইঞ্জিন রয়েছে।
ফিউচারিজম ওয়েবসাইটের মতে, স্পিডার (Speeder) খুবই শক্তিশালী। এটি ১০০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। এর গতি ঘণ্টায় ৮০৪ কিলোমিটার। অর্থাৎ, বাণিজ্যিক বিমানের গড় সমতলের প্রায় সমান। এর আকার একটি বড় মোটরসাইকেলের মতো। এটি একবারে ৬৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।
স্পিডার বাইকটি মডুলার, অর্থাৎ এটিকে পণ্যবাহী যানে রূপান্তর করা যেতে পারে। এটি যে কোনও জায়গায় উড়তে পারে। সে গভীর জঙ্গল হোত, পাহাড়, সমুদ্র বা নদী। এটিকে বনের আগুন নেভানোর জন্য একটি উড়ন্ত অগ্নিনির্বাপক হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি উঁচু ভবন বা জঙ্গলের সংলগ্ন আগুন নেভাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দুর্যোগ মানুষজনকে উদ্ধার করতে বা অসুস্থকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর কাজও সারা যেতে পারে এর মাধ্যমে।
ডেভিড মেম্যান ২০১৫ সালে তাঁর জেটপ্যাক তৈরি করেছিলেন। এরপর তিনি স্ট্যাচু অব লিবার্টি (Statue Of Liberty) প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তাঁর মাথায় আসে উড়ন্ত বাইক নির্মাণের কথা। সেই কাজ তিনি শুরু করেন ২০১৮ সালে। Mayman Aerospace বর্তমানে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনার অনুমতি চাইছে। এখন দেখার অনুমতি মেলে কিনা।
আরও পড়ুন - কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, আগামী ১-২ ঘণ্টায় বর্ষণ আরও ২ জেলাতেও