YouTube New Rule: ভিডিওর ছবি(থাম্বনেল), টাইটেলে একরকম লেখা। ক্লিক করে ঢুকে দেখলেন সেই সংক্রান্ত ভিডিও-ই নয়। বরং সম্পূর্ণ উল্টো কিছু! ইউটিউবে প্রায়শই এমন ভুয়ো ক্লিকবেট কনটেন্ট দেখা যায়। এবার এমন কনটেন্ট বন্ধ করা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করল ইউটিউব ইন্ডিয়া।
ছোটখাটো, সাধারণ বিষয়ে ক্লিকবেট তা-ও মানা যায়। সেখানে কিছুটা সময় নষ্ট ছাড়া কোনও বড় ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনেক সময় রাজনীতি, খবর, সাম্প্রদায়িক ইস্যুর মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও খবর-ভাইরাল ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হয়। আর এমন ভিডিও-তেই অনেকে ভুয়ো, এডিটেড বা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর কোনও ছবি ব্যবহার করে। এর ফলে ফেক নিউজ, ভুল ধারণা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। সেই কারণেই এবার এমন ভিডিও বন্ধ করার উদ্যোগ YouTube-এর।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন কোনও ভিডিও-র টাইটেল 'প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন!' ছবিতে কোনও দেশের প্রেসিডেন্টের ছবি। দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মানুষ ক্লিক করবেন। কিন্তু ভিডিওর ভিতরে ঢুকে দেখা যাবে পাড়ার পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন! এদিকে অনেকে ভিডিও ক্লিক না করে বাইরে থেকে টাইটেল থাম্বনেল দেখেই ধরে নেবেন যে প্রেসিডেন্ট বুঝি সত্যিই পদত্যাগ করেছেন। যাচাই না করে স্ক্রিনশট তুলে শেয়ারও করে দিতে পারেন।
এবার থেকে এমন ভিডিও 'ভয়াবহ ক্লিকবেট' হিসাবে ধরবে ইউটিইব। শুধু তাই নয়, বড় রাজনৈতিক খবর লিখে যদি ভিতরে সামান্য কোনও ঘটনা দেখানো হয়, সেই ভিডিওর জন্যও এই নীতি নেওয়া হবে।
ইউটিউবের মতে, ব্রেকিং নিউজ বা বর্তমান কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি করা হবে।
আগামী কয়েক মাসেই YouTube ভারতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবে। প্রাথমিকভাবে, YouTube সরাসরি চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে স্ট্রাইক দেবে না। তবে ভিডিওগুলি রিমুভ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে৷ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নতুন নিয়মগুলির বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা হবে।
ভারতে YouTube-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি আরও কড়া হচ্ছে।