ভাতের পাতে মাছ থাকলে বাঙালির আর কী চাই! তা-ও আবার যদি ইলিশ হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। ইলিশের মরসুম শুরু হতে এখনও কিছুটা সময় বাকি আছে। তবে বাজারে এখন হিমঘরের মাছের দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
বর্ষার টাটকা মাছ পাতে তুলতে এখনও মাস খানেক অপেক্ষা করতে হবে ভোজনরসিকদের। তবে কম দামে ইিমঘরের ইলিশ মাছ কিনছেন অনেকেই। স্বাদে কিছুটা আপোশ করে এই গরমে ইিমঘরের ইলিশের পাতলা ঝোলও চেটেপুটে খাওয়া যেতে পারে।
জামাইষষ্ঠীর পর ইিমঘরের ঠাণ্ডা ইলিশের দাম আরও কিছুটা কমেছে। এখন পাঁচশো টাকাতেও ৪০০-৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ঘরে তোলা যাচ্ছে। বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, ইলিশের দাম এখনও মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের বিক্রিই সবচেয়ে বেশি। এই ওজনের মাছের দাম এখন ৫৫০-৭০০ টাকা কিলো। অর্থাৎ, ২৫০-৩০০ টাকা ফেললেই একটা ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের গোটা ইলিশ পাতে তোলা যাবে।
পাতিপুকুরের মাছের আড়তে ৭৫০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, মোটামুটি ৫৫০-৭০০ টাকাতেই (এক কিলো খাসির মাংসের দামে) একটা ৭৫০-৮০০ গ্রামের গোটা ইলিশ কেনা যাচ্ছে।
এছাড়াও ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের পাইকারি দর বর্তমানে ১২০০-১৪০০ টাকা টাকা কেজি। ১ কেজির চেয়ে বেশি ওজনের মাছ বাজারে এখন তেমন একটা নেই। থাকলেও তার দাম ১,৬০০-২,০০০ টাকা কেজি। ফলে এই মাছের বিক্রিও তেমন নেই।
হাওড়া, শিয়ালদহ, বালিগঞ্জ, পাতিপুকুরের পাইকারি মাছ বাজারে ইলিশের দর মোটামুটি একই রকম। এখনও মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে ইলিশের দাম। খাসির মাংসের দামে এখনও পাতে তোলা যাচ্ছে বড় মাপের ইলিশ।
এ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ফলে এখনই টাটকা মাছ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই সাধ পূরণে ৫০০ টাকার মধ্যে মাঝারি মাপের (৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছ) ইলিশ কিনছেন অনেকেই।