পেট্রোলের দাম একশো টাকার উপরে চলে গিয়েছে অনেক মাস আগেই। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা। এমতাবস্থায় পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি থাকলে এক ফোঁটা তেল বাঁচানোও জরুরি। মাইলেজ বাড়াতে কী করবেন? রইল পাঁচটি পরামর্শ।
১. গাড়ির কাঁচ তুলে রাখুন
লং ড্রাইভে গেলে অনেকে গাড়ির কাঁচের দরজা খুলে রাখেন। কাঁচ নামিয়ে হাওয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান সওয়ারিরা। গাড়ির মাইলেজ ভাল হওয়ার জন্য এয়ারডায়নামিকস গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দরজা খোলা রাখলে এয়ারডায়নামিকসে প্রভাব ফেলে। হাইওয়েতে দরজা খোলা থাকলে বেশি তেল খরচ হয়।
২. অতিরিক্ত বোঝা নয়
গাড়িতে অনেকে অতিরিক্ত জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার গাড়ি সাজাতে গিয়ে অনেক খরচ করে ফেলেন। গাড়ির ওজন এতে বাড়ে। ওজন যত কতম হবে তত বেশি মাইলেজ। এজন্য চেষ্টা করুন গাড়ির ওজন যতটা সম্ভব যেন কম থাকে।
৩. টায়ার প্রেসার
মাইলেজ বাড়ানোর জন্য টায়ারের প্রেসার যেন ঠিক থাকে। এতে পেট্রোল ও ডিজেল বাঁচে। টায়ারের কম হাওয়া থাকলে বেশি ঘর্ষণ হয়। এতে বেশি ইন্ধন লাগে। আবার টায়ারের হাওয়া বেশি থাকাও ঠিক নয়। এতে রাস্তায় গাড়ি গ্রিপ পাবে না। টায়ার ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই টায়ারের প্রেসার ঠিকঠাক রাখাটা জরুরি।
৪. গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ
সিগন্যালে গাড়ি থামাতে হলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন। লাল বাতি জ্বলার পর ১-২ মিনিট সময় থাকলে এটা করুন। এতে কমবে পেট্রোল ও ডিজেলের বিল। আজকাল তো সব গাড়িতেই স্টার্ট-স্টপ বটন থাকে। গাড়ি স্টার্ট করার ঝক্কি নেই।
৫. গাড়ি পরিষ্কার রাখুন
গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। গাড়ি সাফসুতরো হলে তেল খরচ কমে এটা জানতেন! গাড়ি কেমন অবস্থায় আছে তা প্রভাব ফেলে এয়াডায়নামিকসে। গাড়ি পরিষ্কার থাকলে মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় নিয়মিত গাড়ির সার্ভিসিং করান। ওয়েল ফিল্টার ও এয়ার ফিল্টার ঠিকঠাক থাকলে তেল বাঁচে।
৬. গাড়ির চালানোর পদ্ধতি
গাড়ি কীভাবে চালাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে মাইলেজ। আপনি ধীরে ধীরে এক্সলরেশন দিয়ে, ক্লাস ও গ্লিয়ারকে আস্তে পরিবর্তন করেন তখন আপনার গাড়ি বেশি মাইলেজ দেয়। শুধু তাই নয় নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালান। গিয়ার আস্তে বদলান। তাহলেই দেখবেন তেল বাঁচছে।