দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৬৭ জনের। এই নিয়ে পরপর চারদিন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ অতিক্রম করল।
এই পরিস্থিতিতে অনেক সংস্থাতেই ফের চালু হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। অনেক সংস্থার কর্মীরা গত বছরের মার্চ থেকেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন।
বাড়ি থেকে অফিসের কাজে রয়েছে লাগামছাড়া চাপ। তার উপর অনেক ক্ষেত্রে কাজের সময়ও দীর্ঘায়ীত হচ্ছে। ফলে চাপ কাটাতে সুযোগ পেলে অনেকেই মদ্যপান করছেন ফাঁকেতালে। অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকায় অনেকেরই অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা ইদানীং বেড়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মদ্যপান যে কোনও ভাবেই সহায়ক নয়, তা অনেক আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। কিন্তু যাঁরা মানসিক চাপ কমাতে মদ্যপানে ভরসা রাখছেন! মানসিক চাপ কমাতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে না তো!
এ প্রসঙ্গে ‘অ্যালকোহল রিসার্চ জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বেড়ে যায় ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও!
‘অ্যালকোহল রিসার্চ জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মদ্যপানের ফলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় বেশ কয়েকগুণ! মদ্যপানের ফলে ARDS বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি স্ট্রেস সিনড্রোমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মদ্যপানের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফুসফুসের পেশির ক্রিয়াও স্লথ হয়ে যায়। এর ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না।
যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মদ্যপান বেশ ঝুঁকিপূর্ণ! ফলে মানসিক চাপ কমাতে গিয়ে মদ্যপানের অভ্যাস ফুসফুসের ক্ষতি করার পাশাপাশি শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। করোনা আতঙ্কের আবহে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে!