করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে ভারতে। দেশজুড়ে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী! প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার গোটা দেশ লকডাউনের পথে পা বাড়াতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কেড়েছে ৩,৭৮০ জনের প্রাণ, নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ জন।
বাংলাতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৯ জন। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৩১ জন করোনা রোগী।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বুধবার তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে বাংলায়!
এ রাজ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যেই সরকার অফিসে-কাছারিতে কর্মীদের ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ জারি করা হয়েচে। জিম, স্পা, শপিং মল, বার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এ রাজ্যে।
গতবারের লকডাউনে দোকানপাঠ প্রায় বন্ধ রেখে বিপুল অঙ্কের লোকশান হয়েছে স্থানীয় মুদিখানার দোকানদারদের। সেই সুযোগে অবশ্য গ্রাহক এবং মুনাফা একসঙ্গে বাড়িয়ে নিয়েছে অনলাইন গ্রসারি পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলি।
তবে গতবারের লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার নিজেদের এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ‘হোম ডেলিভারি’ শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় মুদিখানার দোকানদাররা।
যাঁদের স্মার্টফোন আছে তাঁরা WhatsApp-এ অর্ডার নিয়ে মাল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। যাঁদের স্মার্টফোন নেই তাঁরাও ফোনে ফর্দ শুনে লিখে নিচ্ছেন, তারপর পৌঁছে দিচ্ছেন ক্রেতার বাড়িতে।
অনলাইন পেমেন্ট বা নগদ— সব ভাবেই জিনিসত্রের দাম মেটাতে পারছেন ক্রেতারা। লাগছে না কোনও ‘ডেলিভারি চার্জ’! তার উপর অনলাইন গ্রসারি সংস্থাগুলির তুলনায় অনেক জলদি পাওয়া যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এই উদ্যোগে লোকশানের হাত থেকে বাঁচছেন বিক্রেতারা, উপকৃত হচ্ছেন ক্রেতারাও।