দেশজুড়ে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী! প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাসের কোপে, প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার রোগী।
বাংলাতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ মে থেকে রাজ্যে বন্ধ করা হয়েছে লোকাল ট্রেন। সারাদিনে হাতে-গোনা ট্রেন চলছে রেলকর্মীদের জন্য।
সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে লক্ষাধিক রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তবে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার কর্মী। বাড়তে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে রেলের ৭০টি হাসপাতাল এখন করোনা রোগীতে কানায় কানায় পূর্ণ। ফলে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের জায়গা হচ্ছে না।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বিগত কয়েক সপ্তাহে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি চালক, গার্ড ও রেলকর্মী করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৩০ জন রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে যে কোনও সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি দিতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদেরই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি মিলবে।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখাতে পারলে তবেই স্বাস্থ্যকর্মীদের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। রেলকর্মী আর স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কাউকেই এই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পৃথক কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখাতে পারলে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের ওই কামরাগুলিতে ওঠার অনুমতি মিলবে।
জানা গিয়েছে, হাওড়ামুখী স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনগুলির একেবারে সামনের দিকের দু’টি কামরা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পৃথক ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখাতে পারলে শুধু সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরাই নন, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে চড়তে পারবেন বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরাও।