পেট্রোল-ডিজেলের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। সব মিলিয়ে নাজেহাল মধ্যবিত্তের জীবন। আজ সিলিন্ডার পিছু রান্নার গ্যাসের দাম ফের বেড়েছে।
২০২০ সালের ১ অগাস্ট দেশের রাজধানী দিল্লি আর মুম্বাইতে ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (ডোমেস্টিক) দাম ছিল ৫৯৪ টাকা। কলকাতায় সে সময় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬২১ টাকা।
বিগত ২২ মাসে ৩৬৫ টাকা বেড়েছে ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম! শুধু রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিই নয়, কেন্দ্র সরকার করোনা মহামারীর সময় থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে রান্না করার জন্য গ্যাস জ্বালাতে হাতে রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগছে আম জনতার।
তথ্য অধিকার (RTI) আইনের অধীনে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে, তিনটি সরকারি খাতের তেল বিপণন কোম্পানি গ্যাস ভর্তুকি বাবদ ৩৭,৫৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে তা হয়েছে মাত্র ২,৭০৬ কোটি টাকা।
অর্থাৎ, বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এলপিজি সিলিন্ডারের ভর্তুকি কমিয়েছে ৩৪৮৭৯ কোটি টাকা। এদিকে গত ২ বছরে রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি প্রায় ৪০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
শেষ এক বছরেই প্রায় ২০০ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, এ দিকে তলানিতে নেমেছে ভর্তুকি! দেশের ৩৯ কোটিরও বেশি পরিবার রান্নার জন্য এলপিজি ব্যবহার করেন। তবে গ্যাসের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় উজ্জ্বলা গ্যাসের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হতে বসেছে।
রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি সবাই পাচ্ছেন না বা পান না। যে সব পরিবারের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি তাঁরা রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি পাবেন না। এর পাশাপাশি যে গ্রাহকের আধার নম্বর তাদের এলপিজি সংযোগ এবং তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয়নি, তারা ভর্তুকি পাচ্ছেন না।
আপনি যদি ভর্তুকির টাকা না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি টোল ফ্রি নম্বর 18002333555 এ কল করে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন। আপনার ভর্তুকির স্টেটাস পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.mylpg.in-এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।