বাজারদর আগুন! তবুও জামাইষষ্ঠীর বাজার জমজমাট। খুচরো বাজারে খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ— সবেরই দাম বেশ চড়া। ইলিশ থেকে চিংড়ি, আম থেকে মিষ্টি কিনতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে।
ফল, ফুল, মিষ্টি সব কিছুরই দাম ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সকালের বাজার যদিও নাগালে, রাতের বাজারে ডেরা দাম সবকিছুর। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক জামাইষষ্ঠীর বাজারদর (স্থানীয় বাজার দরে সামান্য হের ফের হতে পারে)।
জামাইষষ্ঠীর বাজারে প্রথমেই আসা যাক ইলিশের দামে। ৫০০-৬৫০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজিতে।
পার্বনের বাজারে গলদা চিংড়ি কেজি প্রতি ৫৫০-৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতি কিলো ৬৫০-৭০০ টাকা। পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, পার্শে ৩৫০-৪০০ টাকা আর ভেটকি মাছ প্রতি কিলো ৪৫০-৫৫০ টাকা।
রুই মাছ (গোটা) প্রতি কিলো ১২০-১৪০ টাকা, রুই মাছ (কাটা) প্রতি কিলো ১৮০-২০০ টাকা, কাতলা মাছ (গোটা) প্রতি কিলো ২২০-২৫০ টাকা, কাতলা মাছ (কাটা) প্রতি কিলো ২৮০-৩৫০ টাকা।
মুরগির মাংস (গোটা) প্রতি কিলো ১৪৫-১৫৫ টাকা, মুরগির মাংস (কাটা) প্রতি কিলো ২৩০-২৪০ টাকা, পাঁঠা / খাসির মাংস প্রতি কিলো ৬৮০-৭২০ টাকা।
জামাইষষ্ঠীর বাজারে আমের দাম রাতারাতি দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি ৮০-১০০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে এখন ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে। লিচু, তরমুজের দামও বেশ চড়া।
এবার আসা যাক বাঙালির শেষ পাতের মিষ্টির কথায়। জামাইষষ্ঠীর বাজারে মিষ্টির দামও খানিকটা বেড়েছে। ৬ টাকার রসগোল্লা ৮ টাকা পিস হয়েছে, রসমালাই, সরপুলি, জলভরা সন্দেস, ক্ষীর কদম, মালাই চপ— সবেরই দাম ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে।
যে সব দোকানে দাম বাড়েনি, সেখানে ঘণ্টা খানেক লাইনে দাঁড়িয়েও পছন্দের মিষ্টি পাচ্ছেন না জামাই-শশুররা। ফলে ল্যাংচা, লেডিকিনি, কালাকাঁদ, ছানাপোড়া, রসগোল্লা দিয়েই পাত ভরানোর আয়োজন করতে হচ্ছে। মিষ্টি দইয়ের দাম না বাড়লেও আকাশছোঁয়া চাহিদার ঠেলায় জোগান-মজুতে ভাটা পড়েছে।