দেশজুড়ে ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের করোনার টিকাকরণ! কিন্তু দেশের সর্বোত্র এখনও টিকার পর্যাপ্ত জোগানের অভাব সামনে এসেছে। ফলে বেশ কিছু রাজ্যে গতি কমেছে করোনা টিকাকরণের।
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা টিকার পর্যাপ্ত জোগানের অভাবে অনেককেই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা, তাঁরা তা সময় মতোই পেয়ে যাচ্ছেন। টিকার অভাবে নতুন রেজিস্ট্রেশনের ডেট পাচ্ছেন না অনেকেই!
এই অবস্থায় টিকার অভাবে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টোটকায় ভরসা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ফলে টোটকার তালিকায় থাকা পাতিলেবুর চাহিদা আর দাম এখন তুঙ্গে!
কবে করোনার টিকা নিতে পারবেন, জানা নেই। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অধিকাংশ মানুষ ভরসা রাখছেন লেবুতে। ফলে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে এর দামও বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে!
গরম বাড়লে প্রতি গ্রীষ্মে এমনিতেই কিছুটা বাড়ে পাতিলেবুর চাহিদা আর দাম। তবে গত বছর থেকে করোনার আবহে শরীর সুস্থ রাখার ঘরোয়া টোটকায় লেবুর কদর বাড়িয়েছে অনেকটাই।
এ বারে পাতিলেবুর দাম অনেকটাই বেড়েছে। এখন রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় পাতিলেবু জোড়ায় ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। করোনা টিকার জোগানে সামান্য ঘাটতি থাকায় শরীরের ভিটামিন ‘সি’-এর চাহিদা পূরণেও বেড়েছে পাতিলেবুর চাহিদা।
বাড়তে থাকা গরম আর আর করোনা সংক্রমণের ফলে কিছুদিন আগেও যে লেবু ১০ টাকায় ৫টা পাওয়া যেত বর্তমানে তার দামই জোড়ায় ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাতিলেবুর দাম বাড়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ আর করোনা সংক্রমণের জোড়া ধাক্কায় পাতিলেবুর চাহিদা যতটা বেড়েছে জোগান ততটা বাড়েনি। ফলে চাহিদা আর জোগানের ব্যবধানে দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে। জোগান না বাড়লে ভবিষ্যতে এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান কারবারিদের।