দেশজুড়ে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এখন করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণে দোসর হাসপাতালে অক্সিজেন আর বেডের আকাল!
বাংলায় অক্সিজেনের ঘাটতি না থাকলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই কমছে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রাজ্যের ৪৯টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে।
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ১৪০০ বেড করোনার জন্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ আর ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে বেড বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজারহাটের লালকুঠি এলাকায় একটি সেফ হোম এবং অক্সিজেন পার্লার চালু করা হল। মঙ্গলবার এটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, মোট ৬০টি শয্যাবিশিষ্ট এই সেফ হোমে ২০টি বেড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ২৪ ঘণ্টাই এই সেফ হোমে চিকিৎসকের পরিষেবা পাবেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা।
রাজারহাটের লালকুঠি এলাকার এই সেফ হোমে রোগীদের চারবেলা নানা পদের পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হবে। দিনে দু’বার রোগীর ব্লাড প্রেসার, শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা-সহ নানা জরুরি পরীক্ষা করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি লালকুঠির এই সেফ হোমে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য অক্সিজেন পার্লার খোলা হয়েছে। এই উদ্যোগে রাজারহাটের লালকুঠি এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এর আগেই আনন্দপুরে আর রাজারহাটে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির বিল্ডিংয়ে সেফ হোম তৈরি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে উত্তীর্ণ-এ ৪০০ বেডের একটি সেফ হোম তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে কলকাতায় প্রায় ১,৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোম চালু হচ্ছে শীঘ্রই।
মূলত, উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের রাখা হবে এই সব সেফ হোমে। এ ছাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্থিতিশীল রোগীদেরও এখানে স্থানান্তরিত করা হবে। কোনও করোনা রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফের সেফ হোম থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।