চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং চেকের জালিয়াতি রুখতে লেনদেনের নিয়মে বড়সড় বদল আনতে চলেছে Bank of Baroda! আগামী ১ জুন থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।
নয়া নিয়মে ১ জুন থেকে চেক ভাঙানোর আগে প্রতিবার চেক প্রদানকারী গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাঠাবে ব্যাঙ্ক। গ্রাহক ওই মেসেজের উত্তরে টাকা প্রদানের অনুমতি (কনফার্মেশন) দিলে তবেই চেকের পেমেন্ট করবে ব্যাঙ্ক।
নতুন নিয়মে ২ লক্ষ টাকার কম অঙ্কের চেকের ক্ষেত্রে চেক প্রদানকারী গ্রাহক শুধু অনুমতি (কনফার্মেশন) দিলেই হবে। কিন্তু, ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের চেকের ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ ভেরিফিকেশন পর্ব পেরিয়ে তবেই চেক ক্লিয়ারেন্সের অনুমতি নেওয়া হবে।
চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নিয়মই 'পজিটিভ পে সিস্টেম' (Positive Pay System) হিসাবে পরিচিত। এই 'পজিটিভ পে সিস্টেম' (Positive Pay System) বাস্তবায়নে এবং চালু করার ক্ষেত্রে 'ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া'র (NPCI) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কী এই 'পজিটিভ পে সিস্টেম' (Positive Pay System)? ৫০,০০০ টাকার বা তার বেশি মূল্যের চেকের ক্ষেত্রে যে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা কাটা হবে গ্রাহকের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ব্যাঙ্ক গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এই পজিটিভ পে সিস্টেমে (Positive Pay System) চেকের নম্বর, তারিখ, Payee-র নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করে দেখা হবে। সমস্ত ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে চেক এনক্যাশ করার জন্য ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) এই নিয়মে ব্যাঙ্কগুলি তাদের সমস্ত গ্রাহককে এই পজিটিভ পে সিস্টেমের (Positive Pay System) সুবিধা দেবে। যদিও এই সুবিধা কোনও গ্রাহক চাইলে না-ও নিতে পারেন, যতক্ষণ না ওই ব্যাঙ্কে এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্ক গ্রাহকের বড় অঙ্কের চেক ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে পজিটিভ পে সিস্টেমের (Positive Pay System) সাহায্য নেন। ব্যাঙ্কের চেক জালিয়াতি রুখতেই এমনটা করা হয়।
দেশে মোট যে সংখ্যক চেক ইস্যু করা হয় তার মাত্র ২০ শতাংশ নতুন এই 'পজিটিভ পে সিস্টেম' (Positive Pay System)-এর আওতায় এলেও মোট আর্থিক লেনদেনের বিচারে চেকের মাধ্যমে মোট লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশই এই ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবে।