করোনার মহামারির প্রভাবে পৃথিবীতে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও বেশ প্রভাব ফেলেছে করোনা।
শিশুদের মোবাইল, ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে পড়াশোনা করতে হবে। সঠিক নেটওয়ার্কের অভাবে, গ্রামে পড়াশোনা করা শিশুদের লেখাপড়ার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
করোনা বিপর্যয়ের প্রভাবে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই তাদের পড়াশুনায় সাহায্য করতে চলন্ত পাঠাগার তৈরি করে ফেললেন একজন স্কুল শিক্ষক।
মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক সিএইচ শ্রীবাস্তব তাঁর স্কুটারেই একটি চলমান গ্রন্থাগার তৈরি করে ফেলেছেন।
এই পাঠাগারে, শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বইও রয়েছে। শিশুরা এই গ্রন্থাগারটি খুব ভাল ভাবে ব্যবহার করছে এবং মন দিয়ে পড়াশোনা করছে।
(ছবি: এএনআই)
শিক্ষক সিএইচ শ্রীবাস্তব জানান যে, এই পাঠাগারটি যে সমস্ত শিশু ব্যবহার করে তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা ফোন এবং ল্যাপটপ কিনতে পারে না। ফলে করোনা-কালে অনলাইন ক্লাসেও যোগ দিতে পারেনি এই শিশুরা।
করোনা-কালে এই শিশুদের লেখাপড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের পড়াশুনার এই সমস্ত অসুবিধার কথা চিন্তা করেই, একটি ছোট গ্রন্থাগার তৈরি করেছেন শিক্ষক সিএইচ শ্রীবাস্তব, যাতে এই শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়তে পারে।
এই লাইব্রেরিতে শিশুদের সিলেবাসের বই ছাড়াও অনেক গল্প, কবিতার বইও রয়েছে। শিশুরা এই বইগুলি খুব উপভোগ করছে। শিক্ষাবিদ সিএইচ শ্রীবাস্তবের এই পদক্ষেপ দেশজুড়ে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।
এর আগে নেঙ্গুরাঙ্গ মীনা যিনি অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পাড়ে জেলার বাসিন্দা, তাঁর রাজ্যের প্রথম রাস্তার পাশের গ্রন্থাগারটি খোলেন। এই পাঠাগারটি খোলার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।