Advertisement

ইউটিলিটি

Hilsa Crisis: টাটকা ইলিশ কত মিলবে এ বছর? সামুদ্রিক পরিবেশে 'অশনি সঙ্কেত'

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • 27 Jun 2022,
  • Updated 1:38 PM IST
  • 1/8

বাংলার ভোজনরসিকদের এই মরসুমের টাটকা, পর্যাপ্ত ইলিশ চোখের সামনে দেখতে, পাতে তুলতে অন্ততপক্ষে আরও এক পক্ষ অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, গত সপ্তাহে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠলেও উত্তাল সামুদ্রিক বাতাসের ঠেলায় মাছের পাল মৎস্যজীবীদের জালের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

  • 2/8

ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও জালে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। রাজ্য মৎস্য দফতর সূত্র জানা গিয়েছে যে, সমুদ্রের জলে উচ্চ লবণাক্ততা ইলিশকে ওই এলাকা থেকে আরও দূরে সরে যেতে বাধ্য করে। এ ক্ষেত্রেও উত্তাল সামুদ্রিক বাতাসের প্রভাবে তেমনটাই হচ্ছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • 3/8

জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া ইলিশ মাছ ধরার প্রথম পর্বটি দক্ষিণ ২৪-পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশিরভাগ ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে প্রায় খালি হাতে ফিরে আসার পরে এই মরসুমে ইলিশের জোগান নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে।

  • 4/8

মৎস্যজীবীদের দাবি, এই সপ্তাহে উত্তাল সামুদ্রিক হাওয়ার প্রভাবে তৈরি হওয়া আড়াআড়ি স্রোত (ক্রস-কারেন্ট) এত শক্তিশালী ছিল যে অনেক এলাকায় জালও ফেলা সম্ভব হয়নি। এই সপ্তাহে মৎস্যজীবীরা যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ ধরতে পেরেছেন তা শুধুমাত্র বড় টানা জালের (নেট ট্রলিং) কৌশল কাজে লাগিয়ে।

  • 5/8

১৫ জুন থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত, ইলিশ ধরতে যাওয়া প্রায় ২ হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে প্রায় খালি হাতে ফিরেছে। তবে জুলাইয়ের শুরুতে মৎস্যজীবীরা এই সমস্যা বা আকাল কেটে গিয়ে আরও ভালো বেশি মাছ জালে পড়ার আশা করছেন।

  • 6/8

ইলিশের আকাল প্রসঙ্গে সুন্দরবনের এক মৎস্যজীবী বলেন, “আমরা আশাবাদী যে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সামুদ্রিক বাতাসের অস্থিরতা এবং জলের লবণাক্ততা আশা করি বেশ কিছুটা কমবে।”

  • 7/8

হুগলি নদী যেখানে দক্ষিণ ২৪-পরগনার সুন্দরবনের কাছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, এই সঙ্গমটি ইলিশের ডিম পাড়ার জন্য অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। জুন-জুলাই মাসে, প্রজননকালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ডিম পাড়ার জন্য এখানে চলে আসে। ফলে জুনে না হলেও জুলাই মাসে ইলিশের জোগানের খড়া কাটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • 8/8

যাইহোক, ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইলিশের ঘাটতি ছিল। এ বছরেও এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে না মৎস্যজীবীদের জালে। মৎস্য দফতরের অনুমান, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার মৎস্যজীবী রুজি-রুটির সংকটের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে, আরও একটা মাস না দেখলে এ বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।

Advertisement
Advertisement