বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশেরই অর্থনীতি বিপর্যস্ত! ভারতের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব প্রড়েছে।
গত বছরে করোনার ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।
সংসার চালাতে ঋণ নিয়েছেন, ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েছেন অনেকে। কারও গৃহঋণের তো কারও আবার ব্যক্তিগত ঋণের মাসিক কিস্তি বাকি পড়েছে। অনেকেই নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এই করোনা মহামারির কারণে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ঋণ নেওয়ার পর যদি ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হয়, তখন ওই ঋণ শোধ করবে কে? ঋণগ্রহীতার পরিবারকে কি ওই ঋণের দায়ভার বহন করতে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
গৃহঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে ওই ঋণ শোধ করার যাবতীয় দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর সাধের ওই বাড়িটির উপরেই। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তাঁর ওই বাড়িটি বিক্রি করেই শোধ করা হবে ওই ঋণ।
বাহনঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে ওই ঋণ শোধ করার যাবতীয় দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর দুই চাকা বা চার চাকার ওই বাহনটির উপরেই। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তাঁর ওই বাহনটি বিক্রি করেই শোধ করা হবে ওই ঋণ।
তবে ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ শোধের নিয়ম একটু আলাদা। ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণকে অসুরক্ষিত ঋণের তালিকায় ধরা হয়। ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তাঁর ওই ‘Write-Off’ হিসাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরাধিকারী বা পরিজনকে ওই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনত বাধ্য করতে পারে না।