দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে সাথে কৃষি জমিও হ্রাস পাচ্ছে এবং এই সমস্যাটি কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের কৃষি বিজ্ঞানীরা একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন, যাতে কম জায়গায় চাষ করা যায়। গত বছর জহুর আহমেদ ঋষি বাড়ির ছাদে ধান চাষ করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন জহুর আহমেদ ঋষি আবিষ্কার করেছেন এক অনন্য পদ্ধতি যার মাধ্যমে জমি থেকে উৎপাদন এখন চারগুণ করা সম্ভব।
উল্লম্ব চাষ কি জানেন চাষের এই কৌশলটিকে উল্লম্ব চাষ বলা হয়। জাপান ও চীনে অনেক আগে থেকেই কৃষির এই পদ্ধতির চেষ্টা করা হয়েছে। চাষাবাদের এই আধুনিক কৌশলের আওতায় কাঠের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তাদের ওপর দেওয়াল তৈরি করা হয়, যাতে অনেক ধরনের ফসল রোপণ করা যায়, অর্থাৎ কম জায়গায় বেশি উৎপাদন করা যায়।
কাশ্মীরের কৃষিবিদ ডক্টর কাউসার মুকিম বলেন, এভাবে জমির স্বল্পতা সত্ত্বেও কম জায়গায় বেশি কৃষি উৎপাদন করা সম্ভব কারণ আগামী সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষিকাজের জন্য জমি হবে। কমানো, যা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায় এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি খুবই সহায়ক হবে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের দুইজন কৃষি বিজ্ঞানীও বছরে দুটি শস্য শালি (এক ধরনের ধান) চাষে কাজ করছেন। সাধারণত, কাশ্মীরে বছরে মাত্র একবার শালি ফসল হয়, তবে কৃষি বিজ্ঞানীরা বছরে দুটি শালি ফসল ফলানোর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। তাও ওই জাতের চালের, যা বেশ দামি বলে মনে করা হয়। এই চাল সুগন্ধি, যা মুশকিবোদজি নামে খুব বিখ্যাত।