আবাস যোজনার বাড়ি কারা পাবেন? তা নিয়ে আগেই নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার খোদ মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করলেন। আর আবার যোজনার বাড়ি কারা পাবেন, তাও জানিযে দিলেন জেলাশাসকদের।
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব মালদা,মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন বলে খবর। সেখানে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের সাফ জানিয়ে দেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, তাঁরা কোনওভাবেই আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন না।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যাঁদের নাম আছে তাঁদের নাম দ্রুত বাতিল করতে হবে। কোনও প্রভাবশালীর কথা শোনা চলবে না। কোনও এলাকায় যদি এই নিয়ে ঝামেলা হয় তাহলে সেখানে জেলাশাসকদের যেতে হবে। প্রয়োজনে নবান্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশও দেন জেলাশাসক।
প্রসঙ্গত, নবান্ন আগেই জানিয়েছে, পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করলে, মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার বেশি হলে, আয়কর দিলে আবাস যোজনার উপভোক্তার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে। উপভোক্তার কাছে কোনও গাড়ি, যন্ত্র চালিত নৌকা, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি থাকলে কোনওভাবেই তিনি বা সেই পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে, কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে, ফ্রিজ, ল্যান্ডলাইন ফোন থাকলেও তাঁর নাম এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে তৃণমূল বিধায়ককে ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয়। আবার আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গাতেও।
আবার আবাস যোজনা (PM Awas Yojana Scheme) নিয়ে দুর্নীতি (corruption) ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব বর্ধমানেও। রায়নাতে এই অভিযোগ ওঠে। সেখানে রত্না মোহন্ত নামে একজনের নাম ওঠে আবাস যোজনার উপভোক্তার তালিকায়। যদিও তাঁর পাকা বাড়ি আছে বলে অভিযোগ।