Advertisement

NH 10 Opens Kalimpong Sikkim: সিকিম-কালিম্পংগামী রাস্তা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা, পর্যটকদের জন্য বড় খবর

Sikkim Flash Flood: ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তার পারে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ, সেনাবাহিনীর শিবির সহ একাধিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। সেতু, বাঁধ ভেঙে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারও হেলিকপ্টারে এই উদ্ধার কাজ চলবে। তবে এরই মধ্য়ে নতুন করে সমস্য়া দেখা দিয়েছে।

সিকিম-কালিম্পংগামী রাস্তা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা, পর্যটকদের জন্য বড় খবর
Aajtak Bangla
  • কালিম্পং,
  • 11 Dec 2023,
  • अपडेटेड 4:01 PM IST
  • তিস্তায় তলিয়ে গিয়েছে রেলপথ তৈরির সামগ্রী
  • ,২০২৪-এর সিকিমের রেল যোগাযোগ বিশবাঁও জলে

NH 10 Opens Kalimpong Sikkim: 

যাতায়াতের প্রধান রাস্তা ১০ নম্বর  জাতীয় সড়ক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। এর আগে সামান্য কিছু ছোট গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে ধস সরিয়ে চলাচলের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এবার এর নতুন করে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ এবং শর্ত আরোপ করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। তবে পর্যটকদের ক্ষেত্রে বড় খবর দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। সোমবার এই মর্মে তারা একটা নোটিশ ও জারি করে দিয়েছে। এখন দেখে নিই নতুন কি কি শর্ত এবং যাতায়াতের রুট প্রকাশ করেছে তারা।

কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে বিভিন্ন যাতায়াতকারী ট্রান্সপোর্ট অর্গানাইজেশন শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও সিকিমের তরফে একাধিক আবেদন আসছিল এই রাস্তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার এর আগে ৬ অক্টোবর পুজোর আগে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তাতে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি যাতায়াতের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার আবার নতুন করে কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরনো বিজ্ঞপ্তিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে পূর্ত দফতর এবং পুলিশের পর্যবেক্ষণের পর শর্তসাপেক্ষে কিছু ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। দশ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এই নিয়ম সোমবার থেকেই লাগু হয়ে গেল।

ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে কী বিধি নিষেধ?

ছোট গাড়ি, বাইকের ক্ষেত্রে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যাতায়াতের জন্য কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা নেই।

ছোট মালবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়ম

৬ টন পর্যন্ত ছোট মালবাহী গাড়িকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতের জন্য অনুমতি দেওয়া হল। পাশাপাশি ছোট ট্যাংকার, যেগুলি ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত ওজন পরিবহণ করে তাদের অনুমতি থাকছে। সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী বাস পরিবহণে আর কোনও বাধা থাকলো না।

Advertisement

ভারী মালবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে কী নিয়ম?

যে সমস্ত ভারী যানবাহন, যেগুলি ৬ টনের ওপরে মাল পরিবহণ করবে এবং ট্যাংকারের ক্ষেত্রে ৯ কিলোমিটারের বেশি ওজন পরিবহণ করবে। সেগুলিকে কালিম্পংয়ে যাওয়ার পথে মেল্লি ব্রিজ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। সেখান থেকে চিত্রে হয়ে কালিম্পং টাউন-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়িতে নামবে। আবার একই রুটে উল্টো পথে কালিম্পং ও সিকিম পৌঁছবে। সিকিমগামী অতি ভারী ট্রাককে এই নিয়ম মানতে হবে।

ভারী ট্যাংকারের ক্ষেত্রে রুট কী?

ভারী ট্যাংকারের ক্ষেত্রে আলাদা রূপ দেওয়া হয়েছে। সেগুলিকে রেসি-পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি এবং উল্টো পথে কালিম্পং-সিকিমে যেতে হবে।

একাধিক জায়গা ওয়ান ওয়ে

পাশাপাশি কিছু কিছু পয়েন্টে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ওয়ান ওয়ে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

লিকুভির                                                                                                                                                                মেল্লিবাজার                                                                                                                                                          আন্ধারি জোড়া                                                                                                                                                      ভালুখোলা                                                                                                                                                                  আট মাইল

এর ফলে শীতকালীন পর্যটন মরশুমে পর্যটকদের জন্য বিশাল সুবিধা হল। মালবাহী লরি এবং ট্যাংকারগুলির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও পর্যটকদের কোনও রকম বিধিনিষেধ থাকলো না। কারণ যাত্রীবাহী কোনও গাড়ি বাস এই বিধিনিষেধের আওতায় আসছে না। তাদের ক্ষেত্রে খোলা অনুমতি দেওয়া হলো।

গত ৪ অক্টোবর সিকিম বিপর্যয়ে তিস্তায় ব্যাপক জলস্ফীতি হয়। যার জেরে গোটা তিস্তা ও সংলগ্ন এলাকা বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়। প্রচুর মানুষ মারা যান। কালিম্পং এবং সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অনেকটাই তিস্তায় ভেসে যায়। উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় থাকা লোনক হ্রদ ভেঙে গিয়ে আচমকা তিস্তায় হড়পা বান চলে আসায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। নদীতে জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সিকিমের মঙ্গন জেলার লোনক লেকের বাঁধ ভেঙে যায়, সেই জলের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে মঙ্গন, গ্যাংটক, পাকিয়ং এবং নামচি জেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়।

Advertisement

ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তার পারে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ, সেনাবাহিনীর শিবির সহ একাধিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। সেতু, বাঁধ ভেঙে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারও হেলিকপ্টারে এই উদ্ধার কাজ চলবে। তবে এরই মধ্য়ে নতুন করে সমস্য়া দেখা দিয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement