জ্বালানির দাম সবাইকে নাজেহাল করছে। কী করে তা ঠিক রাখা যায়, সে ভাবনায় জেরবার মানুষ। যাঁদের গাড়ি বা বাইক রয়েছে, তাঁদের চিন্তা আরও বেশি। আপনার গাড়িকে মাইলেজ বেশি দেবে, এমন জটিল মেকানিক্সে পারদর্শী না হলেও তা করা যেতে পারে। বেশ কযেকটা সহজ উপায় রয়েছে। যাতে আপনি পেট্রোল পাম্পের পাশ দিয়ে বারবার থামার বদলে গাড়ি ছুটিয়ে যেতে পারেন!
১. কিছু ওজন কমান
ঘটনা হল, গাড়ি যত ভারী হবে, তার তৃষ্ণা তত বেশি হবে। মানে বেশি তেল লাগবে। এটা জানার জন্য আপনাকে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ হতে হবে না!
তাই চাইল্ড সেফটি সিট আর ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত টায়ার যা ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয় বা এমনকি টন টন আবর্জনা যা আপনি চারপাশে নিয়ে যাচ্ছেন, তা খাদে ফেলুন।
বুট খালি এবং পরিষ্কার রাখুন এবং ফুয়েল গেজ আরও স্থিতিশীল হতে দেখুন। অতিরিক্ত টাকার ঝামেলা মেটাবে এগুলো।
২. খালি মাথা হল শয়তানের বাসা
একটি অলস গাড়ি সত্যিই কোথাও না গিয়ে জ্বালানী পোড়ায়। সুতরাং আপনি যদি কারও জন্য অপেক্ষা করার সময় আপনার ইঞ্জিন চালু থাকে, আপনি সেই সময়ে কার্যকরভাবে ০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (0 kmpl) পাচ্ছেন।
কিছু গাড়ি এমনকী আপনাকে লিটার প্রতি ঘণ্টা ট্র্যাক রাখতে সাহায্য করে। তাদের ট্রিপ কম্পিউটারে এ কাজ করে। এর সহজ সহজ সমাধান হল ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন। অথবা, আপনার বাজেট থাকলে, অটো স্টার্ট-স্টপ প্রযুক্তি-সহ একটি গাড়ি কিনুন।
৩. পরিষ্কার রাখুন
নোংরা বা আটকে থাকা ফিল্টার দিয়ে আপনার গাড়ি চালাবেন না। যেমন এয়ার ফিল্টার বা তেল ফিল্টার যদি আপনি পাম্পে বিক্রি করতে না চান। এগুলো পরিষ্কার করুন বা বদলে ফেলুন।
আপনার ধীরে ধীরে রক্তপাত হবে না। কারণ এটা উপযুক্ত উপায়ে ব্যয় হবে। একটা সার্ভিসড ইঞ্জিন কম জ্বালানি খরচ করবে। তাই সেই সময়টা উপেক্ষা করবেন না।
৪. একটা রুট প্ল্যানার ব্যবহার করুন
এটা ঠেলে দেওয়ার মতো মনে হতে পারে। তবে আপনি কোথাও যাওয়ার আগে সাবধানে আপনার রুট বেছে নিন। ট্রাফিক লাইটের কারণে দেবির, জ্যাম বা যানজট কমানো যেতে পারে। এছাড়াও ভিড়ের সময় শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে শুরু করুন। বিশেষ করে যদি আপনি প্রতিদিনের যাত্রী হন।
৫. একটু হাঁটুন
আপনার যদি কোথাও গাড়ি চালানোর প্রয়োজন না হয়, তাহলে করবেন না। এছাড়াও যদি আপনাকে কোনও ভিড়ের জায়গা যেমন বাজার বা মেলায় যেতে হয়, আপনার গাড়িটি কিছু দূরে পার্ক করুন। যেখানে পার্কিং স্পট খুঁজতে আপনাকে গাড়ি চালাতে হবে না।
এটা আপনার সময় বাঁচবে। যানজটের মধ্য দিয়ে চলাচলের ঝামেলা এবং অবশ্যই প্রচুর জ্বালানিও বাঁচাবে। তাছাড়া একটু ব্যায়াম আপনার এবং পরিবারের কোনও ক্ষতি করতে পারে না।
এই টিপসগুলির কোনটিই কাজে লাগাতে খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই এবং এইগুলো কীভাবে জ্বালানি বাঁচাতে সহায়তা করে, তা বোঝার জন্য আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ মেকানিক হতে হবে না। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সময়ে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এগুলো অনুসরণ করতেই পারেন।