Chain Pulling in Train: প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক ট্রেনে যাতায়াত করে, কিন্তু তারা রেলের নিয়ম সম্পর্কে সচেতন নয়। আজ আমরা আপনাকে রেলওয়ের একটি নিয়ম সম্পর্কে বলব যা আপনাদের সকলের জানা জরুরি। রেলওয়ে যাত্রীদের ট্রেন থামানোর বা চেন টানার অধিকার দিয়েছে, তবে এটি তখনই ব্যবহার করা হয় যখন কোনও সমস্যা হয় বা যাত্রী জরুরি অবস্থায় থাকে। চলুন চেন টানার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
অনেক সময় যাত্রীরা ট্রেনে চেন টেনে পালিয়ে যায়
অনেক সময় যাত্রীরা চেন টেনে পালানোর কথা ভাবলেও পুলিশ সব সময় তৎপর থাকে, যার কারণে যারা এ ধরনের অপকর্ম করে তারা ধরা পড়ে।
চেন টানা সম্পর্কে রেল কীভাবে জানতে পারে?
যখন একটি ট্রেনে চেন টানানো হয়, তখন বগির উপরের কোণে ইনস্টল করা একটি ভালভ ঘুরতে থাকে এবং এটি প্রধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে জানায় যে এই বগিটির চেনটি টেনে নেওয়া হয়েছে।
চেন টানা হলে ওই বগি থেকে চাপ পড়ার শব্দ হয়। রেলওয়ে পুলিশ এমন শব্দ শোনা মাত্রই পুলিশ ওই বগির কাছে পৌঁছে যায়। পরে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চেন টানার কারণ এবং অন্য সব কিছু জানতে হয়।
যাত্রীরা কখন চেন টানতে পারবেন?
রেলওয়ে যাত্রীদের শুধুমাত্র জরুরী পরিস্থিতিতে চেন টানার অনুমতি দেয়। যদি কারও পরিবারের কোনও সদস্য প্ল্যাটফর্মে থেকে যায় বা যাত্রার সময় কোনও সমস্যা দেখা দেয় তবে সেই পরিস্থিতিতে যাত্রীকে চেন টানার অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আপনি ট্রেনের অ্যালার্ম চেনটি শুধুমাত্র তখনই টানতে পারেন যখন কোনও শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি ট্রেনে উঠতে ব্যর্থ হন এবং রেল স্টেশনেই থেকে যান। অন্যদিকে, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম কোনও ব্যক্তিকে (যাত্রী) না নিয়েই যদি ট্রেন ছেড়ে দেয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে চেন টানা যেতে পারে। এ ছাড়া ট্রেনে আগুন লাগলে বা ধোঁয়া বেরলে, ডাকাতি বা যে কোনও জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেই চেন টানলে কোনও জেল-জরিমানার ভয় নেই।
রেলে চেন টানার শাস্তি/জরিমানার পরিমাণ
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো যাত্রী অযথা ট্রেনের চেন টেনে ধরলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যে ব্যক্তি ট্রেন থামায় তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইন 1989-এর 141 ধারার অধীনে রেলওয়ে ব্যবস্থা নেয়। এই ধারার অধীনে সংঘটিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, ১০০০ টাকা জরিমানা (ট্রেনে চেন টানার শাস্তি) বা ১ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই উভয় শাস্তিও আরোপ করা যেতে পারে।