বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারও দ্রুত বড় হচ্ছে। দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের পরিকাঠামো খুব দ্রুত তৈরি হচ্ছে। বাড়ন্ত জ্বালানির দর বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি মানুষের প্রয়োজনিয়তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বর্তমানে আকাশছোঁয়া পেট্রোল, ডিজেলের কথা মাথায় রেখে একটা বৈদ্যুতিক স্কুটার, বাইক বা গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন কি? যদি তাই হয়, তাহলে জানেন কি বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স আবশ্যক কিনা বা এর জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি কত দিতে হয়? চলুন এমনই নানা খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক...
বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য কি ড্রাইভারের লাইসেন্স আবশ্যক?
হ্যাঁ, যে কোনো ধরনের গাড়ি চালানোর জন্যই চালকের লাইসেন্স থাকা আবশ্যক। বৈদ্যুতিক গাড়ি এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। এটি ছাড়া, বড় রাস্তায় গাড়ি চালানো বেআইনি।
ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি কত?
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (MoRTH) বৈদ্যুতিক যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি-তে সম্পূর্ণ ছাড় দিয়েছে৷ কেন্দ্র সরকার ইলেকট্রিক গাড়ির মালিকদের রোড ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ ছাড় দিয়েছে। ফলে পেট্রোল, ডিজেলে চালিত যে কোনও গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ি অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করাতে কী কী নথিপত্র লাগে?
বৈদ্যুতিক যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন করাতে ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, টেলিফোনের বিল, ইলেকট্রিক বিল, LIC পলিসি— এর মধ্যে যে কোনও একটি নথি সঙ্গে থাকলেই চলবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির কি নম্বর প্লেট আবশ্যক?
সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুলস, ১৯৮৯-এর সঙ্গে যুক্ত প্রবিধান অনুসারে, ১ এপ্রিল ২০১৯-এর পরে সমস্ত নিবন্ধিত যানবাহনের জন্য একটি HSRP (হাই-সিকিউরিটি রেজিস্ট্রেশন প্লেট) থাকা বাধ্যতামূলক৷ শুধুমাত্র সরকারি অফিসগুলি এই নিবন্ধন প্রদান করতে পারে, যা তাদের সমস্ত যানবাহনের একটি পরিষ্কার ডাটাবেস রাখতে সাহায্য করে এবং চুরি প্রতিরোধে সহায়ক হয়৷