পেনশনভোগীদের সুখবর দিল ইপিএফও। এখন থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা থাকছে না। সময়সীমার শর্ত সরিয়ে দিয়েছে ইপিএফও (EPFO)। পেনশনভোগীরা সারা বছরের যে কোনও সময় লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবনপত্র জমা দিতে পারেন। যা পরবর্তী এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
শংসাপত্রটি এক বছরের জন্য বৈধ
পেনশনভোগীদের প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। সময়ে জমা না দিলে পেনশন বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-র কর্মসূচির আওতায় EPS 95-এর পেনশনভোগীরা বছরের যে কোনও সময় কোনও তাঁদের জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা নেই। এই শংসাপত্র জমা দেওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য বৈধ হবে। অর্থাৎ, যদি একজন পেনশনভোগী চলতি বছর ১৫ এপ্রিল জীবন শংসাপত্র জমা দেন, তাহলে পরের বছর ১৫ এপ্রিল (২০২৩) পর্যন্ত বৈধ থাকবে।
কারা স্বস্তি পাবেন?
ইপিএস ৯৫-র এই স্কিমের অধীনে বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীরা পেনশনের সুবিধা পান। ২০১৯-র ডিসেম্বরে এই ধরনের কর্মীদের জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম পরিবর্তন করেছিল EPFO। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। এবার বছরের যে কোনও সময় লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন।
ইপিএফও-র শর্ত
এর সঙ্গে একটাই শর্ত, যে মাসে আপনি প্রথমবার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন, পরের বছর থেকে আপনাকে ওই মাসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। তা হলে আগামী মাস থেকে পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। EPFO টুইট করেছে, 'EPS 95 পেনশনভোগীরা এখন যে কোনও সময় জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। জমা দেওয়ার তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য তা বৈধ হবে।
কোথায় জমা?
কীভাবে পেনশনভোগীরা জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন তা-ও জানিয়েছে EPFO। তারা বলেছে, পেনশনভোগীরা যে কোনও সরকারি কেন্দ্র, পোস্ট অফিস, নিকটস্থ পিএফ অফিস বা পেনশন প্রদানকারী ব্যাঙ্কে জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। এছাড়াও UMANG অ্যাপের মাধ্যমেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য পেনশনভোগীদের পিপিও নম্বর, আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং আধার লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বরের তথ্য দিতে হবে।
আরও পড়ুন- ধোনির এই মুরগির ব্যবসা করতে পারেন আপনিও, ঘরে বসে কামাই লক্ষ