টানা বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও রাস্তা প্লাবিত হয়েছে,কোথাও আবার জলের প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গাড়িও। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারী বৃষ্টিতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কি বিমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দেবে?
গাড়ি বিমা নেওয়া থাকলে দুর্ঘটনায় গাড়ির ক্ষতি হলে অর্থ পাওয়া যায়। তাই বিমা কেনার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের খেয়াল রাখা দরকার। তাহলে বিমার অর্থ দাবি করতে কোনও সমস্যা হবে না।
বিমা নেওয়ার সময় শুধু দুর্ঘটনার কথা ভাববেন না- মোটর বিমা কেনার সময় শুধুমাত্র চুরি বা ক্ষতি সম্পর্কে ভাববেন না। বরং দেখে নিন বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কতটা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
যা যা দেখবেন-ভারী বৃষ্টি ও বন্যার তাণ্ডবে বিভিন্ন রাজ্যে গাড়ি ডুবে বা ভেসে যাওয়ার ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সাধারণত গাড়ি জলে আটকে থাকলে ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বাজারে এই ধরনের একাধিক বিমা পলিসি রয়েছে,যা এইক্ষতি কভার করে। বিমা নেওয়ার সময় শুধু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
যে পলিসি বাছবেন- প্রথমে মনে রাখতে হবে এমন বিমা কিনবেন যাতে গাড়ির ইঞ্জিনের কভার থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইঞ্জিনের ক্ষতিকে বলে হাইড্রোস্ট্যাটিক লক। বিমা কোম্পানিগুলি সাধারণত এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয় না কারণ এটা দুর্ঘটনা হিসাবে দেখে তারা। মোটরযান আইন ১৯৮৮ অনুযায়ী, বন্যা, বৃষ্টি, ঝড় বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বিমার আওতায় আসে। তাই এমন একটি বিমা পলিসি বেছে নিন যাতে ইঞ্জিন সুরক্ষা অ্যাড-অনের বিকল্প রয়েছে।
বিশেষ বিমা (কম্প্রিহেনসিভ ইনসিওরেন্স)- ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি, বৃষ্টি বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতির জন্য দাবি করতে পারেন বিমায়। এই নীতিতে দুটি শর্ত রয়েছে। প্রথমত, অন ড্যামেজে কভার এবং দ্বিতীয়ত থার্ড পার্টি কভার। অন ড্যামেজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনও কারণে গাড়ির ক্ষতির কভার করে। বিমা সংস্থা সেই ক্ষতির অর্থ প্রদান করে।
যেভাবে বিমার ক্লেইম পাবেন-
পলিসি নম্বর ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির টোল-ফ্রি নম্বরে ক্লেইমের জন্য নিবন্ধন করুন।
কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে ক্লেইম ফর্ম ডাউনলোড করুন। এটি পূরণ করুন। সমস্ত নথি-সহ ক্লেইম ফর্ম জমা দিন।
সংস্থার সার্ভেয়ার বা ভিডিও সার্ভের মাধ্যমে গাড়িটি পরীক্ষা করা হবে। এই সময় সব কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
গাড়ির জরিপ শেষ হলে সার্ভেয়ার রিপোর্ট জমা দেন। তার পর বিমার অর্থ আসে।