জানুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে প্রচুর কেনাকাটার কারণে, এপ্রিল মাসে সোনার দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭৩,৯৫৮ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তা সত্ত্বেও সোনার ব্যাপক কেনাবেচা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে ১৩৬.৬ টন সোনা বিক্রি হয়েছে, যার মূল্য ৭৫,৪৭০ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে সোনার দাম কমেছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বুধবার, MCX-এ সোনা জুন ফিউচারের জন্য সামান্য বৃদ্ধির সঙ্গে প্রতি ১০ গ্রাম ৭০,৪৬৬ টাকায় ট্রেড করছে, যেখানে মঙ্গলবার সোনা ছিল ৭০,৪১৫ টাকায়।
সোনা তার সর্বকালের উচ্চ স্তর থেকে ৩,৫০০ টাকা সস্তা হয়েছে। প্রায় ১৫ দিনে সোনার দামের এত কমতি এসেছে। MCX-এ সোনার এই দাম ৫ জুন ফিউচারের জন্য। সোনার পাশাপাশি রুপার দামেও এমন কমতি হয়েছে। আজ জুন ফিউচারের জন্য MCX-এ রূপার দাম প্রতি কেজি ৮০৯৩১ টাকা, যার মধ্যে ৮০ টাকা বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তবে ১৬ এপ্রিল এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি লেনদেন করে। প্রায় ১৫ দিনে রুপার দাম কমেছে ৪ হাজার টাকার বেশি।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ibjarates.com অনুযায়ী, ৯৯৫ বিশুদ্ধতার দশ গ্রাম সোনার দাম ৭১৬৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। ৯১৬ (২২ ক্যারেট) বিশুদ্ধতার ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৫৯১৮ টাকা। ৭৫০ বিশুদ্ধ (১৮ ক্যারেট) সোনা বিক্রি হচ্ছে ৫৩৯৭২ টাকায়। ৫৮৫ বিশুদ্ধ (১৪ ক্যারেট) সোনা হয়েছে ৪২০৯৮ টাকা। এক কেজি রূপার দাম আজ ৮০০৪৭ টাকা।
কেন সোনার দাম কমল এটা লক্ষণীয় যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের হার কমানোর আশা শেষ হওয়ার কারণে সোনা ও রূপার দামের রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা শেষ হওয়ায় স্বর্ণের দামে পতন দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ডলারের দৃঢ়তায় স্বর্ণের দামও কমেছে। ভারতে সোনা কেনাকে খুব শুভ বলে মনে করা হয় এবং এটি বিবাহের পাশাপাশি বিনিয়োগের জন্য সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের পূর্বাঞ্চলীয় বাজারে অর্থাৎ ভারত ও চিনে সোনার দাম বাড়লে সোনার দাম বাড়ে বা ওঠানামা হয়। একই সঙ্গে পশ্চিমের বাজারে সোনার দাম বাড়লেই নড়াচড়া দেখা যায়।