Indian Railway Break Journey Ticket Rules: ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। আসলে ভারতে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। এছাড়াও, ভারতীয় রেলওয়ে দেশের বিভিন্ন জিনিস পরিবহনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। করোনার সময়, আমরা সবাই দেখেছি যে ভারতে যখন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তখন মনে হয়েছিল পুরো দেশ যেন থমকে গেছে। কিন্তু মহামারীর মধ্যে যখন ট্রেনগুলো আবার চলতে শুরু করেছে, তখন দেশের সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। আপনিও প্রায়ই ট্রেনে যাতায়াত করেন, কিন্তু আপনি কি রেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানেন?
ভারতীয় রেলকে দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের জন্য সুবিধাজনক এবং লাভজনক বলে মনে করা হয়। এতে যাতায়াত করা যেকোনো সাধারণ গাড়ির চেয়ে বেশি আরামদায়ক। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেল অনেক নিয়ম করেছে। আপনি এই সুবিধাজনক নিয়মগুলি সম্পর্কে হয়তো কমই জানেন।
অনেকের সঙ্গে প্রায়ই দেখা যায় কোন কারনে তাদের ট্রেন মিস হয়। এমন পরিস্থিতিতে, রেল আপনাকে এই সুবিধা দেয় যে আপনি পরবর্তী ২ স্টপ পর্যন্ত গিয়ে আপনার ট্রেন ধরতে পারেন। এর পর আপনি আপনার যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ভেঙে ভেঙেও আপনার যাত্রা শেষ করতে পারেন।
অনেক সময় লোকেরা দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য বা ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাইরে যায় এবং এর জন্য যাত্রীরা তাদের টিকিট অগ্রিম করে নেয় কিন্তু তারপরে হয়তো পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়, এক্ষেত্রে আপনাকে নতুন টিকিট নিতে হবে না। আপনি একই টিকিটে আপনার যাত্রা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে, এই সময়ে আপনাকে আপনার কোচ পরিবর্তন করতে হতে পারে।
কেমন হবে এই যাত্রা?
আপনার যাত্রা চালিয়ে যেতে, আপনাকে টিটি অর্থাৎ টিকিট কালেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি পরবর্তী টিকিট প্রস্তুত করে আপনাকে দেবেন। যদি আপনার ট্রেন কোনো কারণে মিস হয়ে যায়, তাহলে আপনি ২টি স্টেশন পার করেও ট্রেনে উঠতে পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত টিটি কাউকে আপনার আসন দেবে না।
রুট ব্রেক জার্নি নিয়ম কী?
এই অনবদ্য নিয়মটি সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। আপনি যদি ৫০০ কিলোমিটারের বেশি যাত্রার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে আপনি এর মাঝে বিরতি নিতে পারেন। যদি যাত্রা ১০০০ কিলোমিটার হয়, তাহলে আপনি এতে দুটি বিরতি নিতে পারেন। আপনি যখন ট্রেনে ভ্রমণ করেন, আপনি বোর্ডিং এবং নামার তারিখ ছেড়ে ২ দিনের বিরতি নিতে পারেন। যদিও শতাব্দী, জনশতাব্দী এবং রাজধানীর মত দেশের বিলাসবহুল ট্রেনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
যাত্রা বিরতির জন্য ন্যূনতম ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব কভার করতে হবে
ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে অনেক নিয়ম করেছে। এর মধ্যে একটি নিয়মও রয়েছে যে আপনি ৫০০ কিলোমিটার যাত্রায় বিরতিও নিতে পারেন। অর্থাৎ, যদি আপনাকে ট্রেনে করে দীর্ঘ যাত্রা করতে হয় এবং কোনো কারণে দীর্ঘ যাত্রা পছন্দ না হয়, তাহলে সেই যাত্রায় আপনি এক বা দুই দিনের বিরতিও নিতে পারেন। যাইহোক, যাত্রা বিরতি পেতে আপনাকে কমপক্ষে ৫০০ কিমি ভ্রমণ করতে হবে। আপনি ১০০০ কিলোমিটারের বেশি যাত্রার জন্য দুটি যাত্রা বিরতিও পেতে পারেন।
কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় কানপুরে ব্রেক নেওয়া যেতে পারে
এই নিয়মের অধীনে, ধরুন আপনি কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন এবং আপনাকে ১০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। আপনি যদি দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেন ভ্রমণ করতে না চান তবে আপনি ৫০০ কিলোমিটার পার করেই কোথাও যাত্রা বিরতি নিতে পারেন এবং তারপর আবার পরের দিন একই টিকিটে দিল্লি ভ্রমণ করতে পারেন।