Jaldapara Jungle Safari Booking Problem: কার সাফারি ও এলিফ্যান্ট রাইডের জন্য অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের (Jaldapara Jungle Safari) সরকারি ও বেসরকারি ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছেন না পর্যটকরা। এর ফলে অনেকেই ভুল করে সরকারির জায়গায় বেসরকারিতে বুকিং করে ফেলছেন। এমনকী টাকাও দিয়ে ফেলেছেন অনেকে। পরে সাফারির সময় গিয়ে ফের টাকা চাওয়া হলে বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। সমস্য়ার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সংগঠনগুলিও। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস বলেছেন।
জলদাপাড়ার ট্যাক্সি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানা গিয়েছে, দুটো ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য না জানলে বাইরের লোকেদের পক্ষে বোঝা মুশকিল। এমনকী অনেকেই যখন ওয়েব সার্চ করেন, তখন পরপর দুটি সাইট দেখায়। ফলে কোনটা সরকারি, কোনটা বেসরকারি, অনভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়ে না। এছাড়া অভিযোগ, বেসরকারি ওয়েবসাইটটি পুরো টাকা কেটে নিলেও টাকা প্রাপ্তির রসিদও ঠিকঠাক দিচ্ছে না। ওই বেসরকারি সংস্থার তরফে নিয়ম ও আইন মেনেই কাজ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কেউ বুকিং বাতিল করলে টাকাও ফেরত দেওয়া হয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন। জলদাপাড়ার ট্যাক্সি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁরাও এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সম্প্রতি ১০ জন জলদাপাড়ায় কার সাফারি করবেন বলে দুটো সাফারির গাড়ির টিকিট বুক করেছিলেন। তাঁরা জানান বুকিংয়ের জন্য সার্চ করায়, প্রথমে যে সাইটটি দেখতে পান, তাতেই বুকিং করেন সরকারি ভেবে। তাঁরা ভাবেন ওটাই সরকারি ওয়েবসাইট। সেখানে দুটো গাড়ির জন্য মোট ৯৫০০ টাকা দেন। কিন্তু কোনও টাকা প্রাপ্তির রশিদ পাননি। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে যখন কার সাফারি করতে গিয়ে, তখন তাঁদের কাছে গাড়ি ভাড়ার টাকা, গাইড চার্জ ফের চাওয়া হয়। এরপর তাঁরা ওই ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট নম্বরে কয়েকবার ফোন করার পর, এক মহিলা ফোন ধরে টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে। শেষে পুলিশে অভিযোগের কথা বলতেই ২ হাজার টাকা ফেরত পাঠান। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট তাঁরা। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সাফারি সংগঠনের মধ্যে।