সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তার বাজেট পেশ করেছে। যদিও সেই বাজেটে বাংলার জন্য কোনও নতুন ট্রেনের ঘোষণা করা হয়নি, তবে মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি বাংলা নতুন কোনও ট্রেন পাবে? এই পরিস্থিতিতে মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধানে নতুন ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তালিকা পেশ করেছেন।
শুক্রবার, খগেন মুর্মু রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবির কথা তুলে ধরেছেন। প্রথমত, মালদহের সিংহাবাদ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত কোনও ট্রেন নেই, যা যাত্রীদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংসদ জানান, নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হলে যাত্রীদের মালদা টাউনে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়, যা সিংহাবাদ স্টেশন থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে যাত্রীদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিউ জলপাইগুড়িতে কাজের সূত্রে যাতায়াত করা মানুষের সংখ্যা প্রচুর, যা খগেন মুর্মু উল্লেখ করেছেন।
দ্বিতীয়ত, খগেন মুর্মু দাবি করেছেন, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু অংশের মানুষের কাছে দিল্লি কার্যত অনেক দূরে অবস্থিত। একমাত্র ফরাক্কা এক্সপ্রেস ছাড়া দিল্লিতে পৌঁছানোর আর কোনও ট্রেন নেই। মালদহে বা তার আশপাশে কোনও বিমানবন্দরও নেই। ফলে একটি বিশাল অঞ্চলের মানুষকে দিল্লি যেতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাংসদ দিল্লি যাওয়ার একটি সুপারফাস্ট ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন।
তৃতীয়ত, সুরাত যাওয়ার একটি ট্রেনের দাবি করেছেন খগেন মুর্মু। তিনি জানান, সুরাত যাওয়ার ট্রেন শুধুমাত্র কলকাতা থেকে ছাড়ে। একটি ট্রেন সপ্তাহে একবার এবং আরেকটি ট্রেন সপ্তাহে দু’বার যায়। মালদহের বহু মানুষ ব্যবসার কাজে সুরাতে যান, ফলে মালদহ কোর্ট স্টেশন থেকে সুরাত পর্যন্ত ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।