ভারতীয় পোস্ট অফিস (India Post) অনেক ধরনের সেভিংস স্কিম চালায়। আপনি যদি পোস্ট অফিসে আপনার উপার্জন বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনি কিষাণ বিকাশ পত্রে (Kisan Vikas Patra) করতে পারেন। পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি সবচেয়ে জনপ্রিয়, কারণ এই স্কিমে দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়ার পাশাপাশি আপনার টাকাও নিরাপদ। আপনি অল্প পরিমাণে এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। টাকা দ্বিগুণ করার জন্য এই স্কিমটি অনেক ব্যবহার করে।
ডাবল হবে টাকা
যাঁরা কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্পে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। আপনি ১০০০ টাকা থেকে এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। আপনি যদি কেনার এক বছরের মধ্যে স্কিমটি ফেরত দেন তবে আপনি কোনও সুদের সুবিধা পাবেন না। কিষাণ বিকাশ পত্রে আপনার বিনিয়োগ ১২৪ মাসে অর্থাৎ ১০ বছর ৪ মাসে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কারা করতে পারবেন বিনিয়োগ?
কিষাণ বিকাশ পত্রের অধীনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কোনও ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ১০ বছরের কম বয়সীদের জন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। নাবালকের বয়স ১০ পূর্ণ হলে অ্যাকাউন্টটি তার নামে হয়ে যায়। এছাড়াও, তিনজন ব্যক্তি একসঙ্গে একটি যৌথ অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। এই স্কিমের সুবিধা সারা দেশের যেকোনও পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া যায়।
পেতে পারেন ঋণ
কিষাণ বিকাশ পত্রের ম্যাচুরিটির সময়কাল ১২৪ মাস। এই স্কিমটি আয়কর আইন ৮০-Cএর অধীনে নয়। সেই কারণে যে রিটার্ন পাওয়া যাবে তার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে। তবে এই স্কিমে টিডিএস কাটা হয় না। আপনি যদি এই স্কিমে ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনাকে আপনার প্যান কার্ডের বিবরণ শেয়ার করতে হবে। আপনি গ্যারান্টি হিসাবে কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্প ব্যবহার করে ঋণও নিতে পারেন।
কীভাবে খুলবেন অ্যাকাউন্ট?
কিষাণ বিকাশ পত্রের অধীনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে, আপনাকে আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে পূরণ করতে হবে আবেদনপত্র। তারপর নগদ, চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা পে অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ জমা করুন। আবেদনের সঙ্গে পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করুন। এরপর কাউন্টারে আপনার আবেদন জমা দিন। সেখান থেকে আপনি কিষাণ বিকাশ পত্রের সার্টিফিকেট পাবেন। পাসবুকও পেতে পারেন।
আরও পড়ুন - বাবুল গাইবেন নজরুল মঞ্চে, KK-র মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট