PMVY: পারিবারিক প্রথা মেনে কাজ করে চলা কারিগরদের সুবিধার জন্য, সরকার একটি নতুন প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 'প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা' প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার রাজ্য, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক এবং স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (SLBC) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক ডেকেছে। 'প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা' প্রকল্প কারুশিল্পী এবং হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরের মাসে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
কুমোর, কামার, রাজমিস্ত্রি, দর্জিদের মতো পারিবারিক প্রথা মেনে কাজ করে চলা কারিগরদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। এর আওতায় মোট ১৩,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি ১৭ সেপ্টেম্বর চালু করা হবে, এটি তিনটি মন্ত্রক - MSME, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অর্থ মন্ত্রক দ্বারা জারি করা হবে। একজন আধিকারিক বলেছেন যে পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমের অধীনে, চলতি আর্থিক বছরে তিন লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীকে যুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ৪-৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষতা মন্ত্রক ২৮ অগাস্ট একটি বৈঠক ডেকেছে। এতে রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব, ব্যাঙ্কগুলির এমডি এবং এসএলবিসি প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পের খসড়া বাস্তবায়ন এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রকল্পের অধীনে, দক্ষ কর্মীদের তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৪-৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কারিগররা প্রশিক্ষণের পর ঋণ নিতে পারবে
প্রশিক্ষণের পর তারা ঋণ নেওয়ার যোগ্য হবে। ওই আধিকারিক বলেন, 'চলতি অর্থ বছরে আমরা তিন লাখ সুবিধাভোগীকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে।' ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে সরকার ১৩ হাজার কোটি থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা শুরু করতে চলেছে।
প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বলেছিলেন যে এই প্রকল্পের অধীনে, কারিগরদের প্রথম কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এ ঋণের সুদের হারও হবে খুবই কম, ৫ শতাংশ।
গ্রামীণ এলাকায় নজর দেওয়া হবে
সরকারি আধিকারিক বলেছেন যে, চলতি অর্থ বছরে আমরা তিন লাখ সুবিধাভোগীকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে।