CNG SUV-দেশের শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক Tata Motors আনুষ্ঠানিকভাবে তার বহু প্রতীক্ষিত SUV পাঞ্চ CNG বিক্রির জন্য আজ অর্থাৎ ৪ই আগস্ট লঞ্চ করেছে। এই SUVটি মোট ৫টি ভেরিয়েন্টে লঞ্চ করা হয়েছে, যার দাম ৭.১০ লক্ষ থেকে ৯.৬৮ লক্ষ টাকার মধ্যে (এক্স-শোরুম) দেওয়া হয়েছে।
মজার বিষয় হল, এই দামটি SUV-এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী Hyundai Exter-এর CNG ভেরিয়েন্টের থেকে অনেক কম, যার দাম ৮.২৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়৷ পাঞ্চ সিএনজি তিনটি ট্রিমে পাওয়া যায় - পিওর, অ্যাডভেঞ্চার এবং অ্যাকমপ্লিসড - প্রতিটি ট্রিম নিয়মিত পেট্রোল পাঞ্চের সাথে দেওয়া নিজস্ব স্বতন্ত্র ঐচ্ছিক প্যাকেজ পায়। যাইহোক, টপ-স্পেক টাটা ক্রিয়েটিভ ট্রিমে CNG বিকল্পটি পাওয়া যায় না।
Tata Tiago, Tigor এবং Altroz এর পর এটি টাটা কর্তৃক চালু করা চতুর্থ সিএনজি মডেল। এর ফলে টাটার সিএনজি পোর্টফোলিও আরও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিটি পেট্রোল ট্রিমের তুলনায় CNG ভেরিয়েন্টের দাম প্রায় ১.৬০ লক্ষ টাকা। এর পেট্রোল ভেরিয়েন্টের প্রারম্ভিক মূল্য ৬ লাখ টাকা। গত অটো এক্সপোর সময় কোম্পানির দ্বারা পাঞ্চ সিএনজি প্রথম প্রদর্শন করা হয়েছিল, এটি তার সেগমেন্টের সবচেয়ে নিরাপদ SUV গাড়িগুলির মধ্যে একটি, এটি গ্লোবাল NCAP ক্র্যাশ টেস্টে একটি ৫-স্টার রেটিং পেয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই SUV-এর।
বিশেষত্ব কী:
টাটা পাঞ্চ সিএনজি পাওয়ার এবং পারফরম্যান্স: পাঞ্চ সিএনজিতে, কোম্পানি একই ১.২-লিটার, তিন-সিলিন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে যা পেট্রোল ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। এই ইঞ্জিনটি পেট্রোলের সাথে 86hp শক্তি এবং ১১৩Nm টর্ক এবং CNG মোডে ৭৩.4hp শক্তি এবং ১০৩Nm পিক টর্ক জেনারেট করে এবং শুধুমাত্র একটি ৫-স্পীড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্সের সঙ্গে দেওয়া হয়। অর্থাৎ সিএনজি গ্রাহকরা অটোমেটিক সুবিধা পাবেন না। টাটা মোটরসের সিএনজি লাইন-আপের অন্যান্য মডেলের মতো, পাঞ্চও সরাসরি সিএনজি মোডে শুরু করা যেতে পারে, এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা মারুতি বা হুন্ডাই দ্বারা অফার করা সিএনজি গাড়িতে পাওয়া যায় না। টাটা পাঞ্চ iCNG ভেরিয়েন্ট এবং দাম:
ডুয়াল সিলিন্ডার প্রযুক্তিতে সজ্জিত এসইউভি: টাটা পাঞ্চ সিএনজির বিশেষ বিষয় হল, সিএনজি গাড়ি হওয়া সত্ত্বেও আপনাকে বুট-স্পেস (ডিগ্গি) নিয়ে আপস করতে হবে না। এতে বুটের নিচের অংশে সিএনজি সিলিন্ডার বসানো হয়েছে এবং ওপর থেকে একটি মজবুত ট্রে দেওয়া হয়েছে, যা এর বুটকে ওপর ও নিচে দুই ভাগে ভাগ করেছে। টাটা মোটরস দাবি করেছে যে এটি দেশের প্রথম সিএনজি এসইউভি যা ডুয়াল সিলিন্ডার প্রযুক্তির সাথে আসে। অর্থাৎ একটি গাড়িতে দুটি সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। এতে ৩০-৩০ লিটার ক্ষমতার মোট ৬০ লিটার সিএনজি ট্যাঙ্ক পাওয়া যায়।
বৈশিষ্ট্য: Tata Motors PUNC CNG-এর বাহ্যিক বা অভ্যন্তরে কোনও বড় পরিবর্তন করেনি, এটি নিয়মিত পেট্রোল মডেলের মতোই রয়েছে। যাইহোক, আপনি SUV-তে 'i-CNG' ব্যাজিং পাবেন। SUV-এর টপ-স্পেক অ্যাকমপ্লিড ট্রিমে ৭.০-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন এবং ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে কানেক্টিভিটি, ১৬-ইঞ্চি অ্যালয় হুইলস, একটি ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ বোতাম, স্বয়ংক্রিয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, উচ্চতা সামঞ্জস্যযোগ্য ড্রাইভার আসনের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হয়।
EXTER একটি কঠিন প্রতিযোগিতা পাবে: Hyundai সম্প্রতি ভারতীয় বাজারে তার সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের SUV Exter লঞ্চ করেছে, যার পেট্রোল ভেরিয়েন্টের প্রারম্ভিক মূল্য ৬ লক্ষ টাকা, এবং CNG ভেরিয়েন্টের দাম ৮.২৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়৷ দামের দিক থেকে, পাঞ্চ সিএনজি প্রায় ১.১৫ লক্ষ টাকা কম। এখন উভয় গাড়িই বাজারে কেমন পারফর্ম করে তা দেখার বিষয় হবে।