Toy Train Resume Siliguri-Darjeeling: ১৬ নভেম্বর থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও একদিন পিছিয়ে অবশেষে চালু হল শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা। রবিবার ১৭ নভেম্বর পতাকা দেখিয়ে বিরতির পর প্রথম ট্রেনটিকে রওনা করলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিকরা। প্রায় ২ মাস পর ফের পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে ছুটল টয়ট্রেন।
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার মাস ধরেই শিলিগুড়ি (NJP) থেকে দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন (Toy Train) পূর্ণাঙ্গ রুটে যাত্রা করল। মাঝে একবার চালানোর চেষ্টা করা হলেও, কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বন্ধ হয়ে যায়. ধস নেমে। রবিবার সকাল ১০টায় দেশি-বিদেশী পর্যটক সহ মোট ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। এটি বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ দার্জিলিংয়ে পৌঁছবে। খুশির হাওয়া পর্যটকদের মধ্যে। খুশি এলাকার পর্যটন স্টেকত হোল্ডাররাও।
এই মুহূর্তে নতুন করে তেমন সমস্য়া হবে না বলে আশা করছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত (North East Frontier Railway) রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জয় কুমার। এদিন ট্রেনটি যাত্রা শুরুর আগে এনজেপির টয়ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ডিআরএম সহ রেলের পদস্থ আধিকারিকরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। ডিআরএম জানা, ‘কয়েক মাস বন্ধ থাকা অবস্থায় রেললাইনের সংস্কার হয়েছে। তাই বর্তমানে কোনও আশঙ্কা নেই। এছাড়াও বৃষ্টির মরশুম না থাকায় পাহাড়ে ধসের সেরকম সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।’
গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন পরিষেবা নিয়ে দোলাচল চলছে। মাঝে একবার বিভিন্ন জায়গায় লাইনে ধসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ধস সরিয়ে ট্রেন চালু করতেই টানা বৃষ্টির জেরে পাগলাঝোরার কাছে বড় ধরনের ধস নামে। রাস্তার একাংশ ধসে যায়। ক্রমাগত ধস ও পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের আন্দোলনের ফলে মাঝেমধ্যেই ট্রয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই লাইনকে সারিয়ে, টয় ট্রেনকে পুনরায় চালাতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে।
ইতিমধ্যেই ইউনেস্কো এক প্রতিনিধিদলকে পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বলে খবর। এরপর ভারতীয় রেলের কাছে এইডিএইচআর বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের মুকুটে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা ধরে রাখা এখন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুজোয় ব্যাপক লাভ
পুজোর মরশুমে ২৫ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জয় রাইডে যাত্রী হয়েছে ৫৭৪৪। এই যাত্রীদের থেকে টিকিট বিক্রি বাবদ আয় ৬৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকা এসেছে দার্জিলিং থেকে ঘুম অবধি জয় রাইড চালিয়ে। ফলে চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে তা ফের লাভের মুখ দেখবে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।