Second Hand Car Loan: দেশে করোনা মহামারীর পরে, ভারতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চাহিদাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশিরভাগ অটো কোম্পানিও এখন সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বিক্রি করছে। এর পাশাপাশি কোম্পানিগুলো এসব গাড়ি কেনার জন্য অর্থের সুবিধাও দিচ্ছে। এখন অনেক কোম্পানি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে জিরো ডাউন-পেমেন্ট-এর সুবিধাও দিচ্ছে।
আপনিও যদি কম সুদের হারে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির লোন নিতে চান, তবে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। দীপাবলি উপলক্ষে বাজাজ ফিনসার্ভ, টাটা ক্যাপিটাল, মহিন্দ্রা ফাইন্যান্স-এর মতো একাধিক ফাইন্যান্স কোম্পানি আর ব্যাঙ্ক কম সুদের হারে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির জন্য ঋণ দিচ্ছে।
সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির দামের ৯০-৯৫ শতাংশ পর্যন্ত লোন পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সুদের হার মোটামুটি ১০% থেকে শুরু হয়। একই সময়ে, নতুন গাড়ি কেনার জন্য ঋণের হার প্রায় ৭% কম দেখা যায়। তাই পুরনো গাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ব্যাংক বা নন-ব্যাংকিং কোম্পানির সুদের হার দেখে নিন। ঋণের যোগ্যতার শর্ত পূরণ করার পরে, আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঋণের পরিমাণ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করে আপনি গাড়ির মূল্যের ১০০% পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। অর্থাৎ, কোনও ডাউন পেমেন্টের ঝামেলা থাকছে না। তবে এটি আপনার ক্রেডিট প্রোফাইলের উপর নির্ভর করবে। হাইব্রিড লোন আপনাকে ঋণ পরিশোধের মেয়াদে শুধুমাত্র সুদের অংশ পরিশোধ করতে দেয়। এইভাবে, আপনি আপনার পরিবারের স্থায়ী দায়িত্বের সঙ্গে আপস না করে সহজেই আপনার মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে সক্ষম হবেন।
সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি লোন নেওয়ার পরে, এটি সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা যেতে পারে। মনে রাখবেন যে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা যত দীর্ঘ হবে, আপনাকে তত বেশি সুদ দিতে হবে। পাশাপাশি, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কম হলে আপনার EMI-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
বাজারে যে মডেলের গাড়ি আপনার পছন্দ, সেটি সেকেন্ড-হ্যান্ড হিসেবে কিনতে পারবেন অর্ধেকেরও কম দামে। ১.৫ লাখ থেকে ২.৫ লাখ টাকার মধ্যে অনায়াসেই একটি গাড়ি কিনে ফেলতে পারবেন আপনি। এর জন্য মাসে EMI গুণতে হবে মোটামুটি ৩০০০-৫,৫০০ টাকার মতো। তাহলে সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি কিনতে এখনই অনলাইনে খুঁজে নিন আপনার পছন্দের মডেলটি আর দীপাবলির অফারে কিনে ফেলুন একেবারে ‘জলের দরে’।