ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালা বিবাদের জেরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই পক্ষেরই হয়রানি হয়। সমস্যা দীর্ঘায়ীত হলে বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় দু’পক্ষকেই। এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এবার থেকে বিবাদী ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালাকে আর ভাড়া জমা দিতে বা তুলতে রেন্ট কন্ট্রোলের অফিসে ছুটতে হবে না। গোটা বিষয়টাই অলাইন পরিষেবায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। সরকারি ব্যবস্থা কার্যকর হলে ভাড়া জমা দেওয়া বা ভাড়ার টাকা তোলার জন্য অনলাইনেই আবেদন করা যাবে। এই সুবিধা চালু হলে উপকৃত হবেন রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ।
এখনও পর্যন্ত নিয়ম হল, বিবাদী ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালাকে বাড়ি ভাড়া জমা দিতে হয় বা তুলতে হয় রেন্ট কন্ট্রোলে গিয়ে। প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমা শাসকরাই সেখানকার রেন্ট কন্ট্রোলার। অর্থাৎ, বিবাদী ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়া জমা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমা শাসকের কাছে। ভাড়ার টাকা তোমার ক্ষেত্রেও নিয়ম ওই একই। এবার এই প্রক্রিয়া সরল করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনলাইনের মাধ্যমে সময় মতো ভাড়া জমা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িওয়ালারা ভাড়ার টাকা তোলার আবেদনও সহজেই করতে পারবেন।
সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পরিষেবা চালু হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি ভাড়া জমা দেওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। এর জন্য ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওই পোর্টালের নিরাপত্তার বিষয়টি আঁটসাঁট করার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে এত দিন ধরে জমা পড়া বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নথিপত্রগুলির ডিজিটাল সংরক্ষণের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে সলিউশন। রেন্ট কন্ট্রোলের মারফত ভাড়া জমা দেওয়ার জন্য ৩২ টাকার মতো ‘প্রসেসিং চার্জ’ নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই কাজ করা গেলে এই খাতে রাজ্যের কোষাগারে রাজস্ব আয় আরও সুনিশ্চিত হবে।