দুর্গাপুজো এগিয়ে আসছে। পুজো মানেই কেনাকাটা, খরচ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। পুজোর আগে প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা ঋণ।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই টাকা ঋণ হিসেবেই দেওয়া হবে। শোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা এক বছর। ওই ঋণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোধ করলে মিলবে আরও ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ৮০ হাজার টাকা। সরকারি সূত্রে এও খবর, যে ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণ দেবে তাদের নির্ধারিত সুদের হারের উপর ৭ শতাংশ ছাড় মিলবে। এই ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে পৌরসভাতে।
তবে এই ঋণ পাবেন হকাররা। রাজ্যের সব পুরসভা এলাকার হকারদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জানা গেছে, তিন দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করছে রাজ্য সরকার।
জানা যায়, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় মোট ৭৫ হাজার ২৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার আবেদন অনুমোদনও পেয়েছে। ঋণ পেয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি জন।
কোন এলাকার বাসিন্দারা পাবেন ? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গ্রামীণ এলাকার কোনও বাসিন্দা পুর-এলাকায় হকারি করলে তিনিও এই সুবিধা পাবেন। গোটা বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রতিটি পুরসভায় একজন করে নোডাল অফিসারও দেওয়া হয়েছে।
পুরকর্তাদের একটা অংশের দাবি, যত বেশি সংখ্যক হকারকে এই ঋণ দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। পুজোর আগে এই টাকা পেলে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের। প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। যা ইতিমধ্যেই অনেকে পেয়েছেন। সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এক বছরের মধ্যে তা শোধ করতে পারলেন ৫০ হাজার টাকা ফের মিলবে। ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলিতে এর আবেদন শুরু হয়ে গেছে।