দ্রুত হাওয়াবদলের ইঙ্গিত দিলেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি কমবে। মেঘ কেটে যাবে। শনিবার থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে আকাশ। বইবে শুকনো, ঠান্ডা বাতাস, নামবে রাতের তাপমাত্রা। আগামী ৩ দিনেই ৩-৫ ডিগ্রি কমতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পশ্চিমাঞ্চলের পারদ নামতে পারে ১২-১৩ ডিগ্রিতে। কলকাতার পারদ নামতে পারে ১৬ ডিগ্রিতে। রোদ উঠলেই বাড়বে দিনের তাপমাত্রা।
নিম্নচাপ হওয়ার পরেও ক্রমশ আরও দুর্বল মিগজাউম। ছত্তিশগড় পেরিয়ে বিদর্ভের পথে। আজ রাতের পর আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিকেলে বাংলাদেশ লাগোয়া নদীয়া মুর্শিদাবাদ জেলার সামান্য বৃষ্টি। ফলে কাল থেকে রাতের তাপমাত্রা কমবে। ৪ দিনে ৪ ডিগ্রি কমবে রাতের তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বাড়বে না। ১১ ডিসেম্বরের পর কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ১৯ এর কোঠায় নামবে। জেলায় বিশেষত পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় ১৫ এর ঘরে নামবে রাতের তাপমাত্রা।
মিধলি এবং মিগজাউম নামে প্রায় পরপর দুটি ঘূর্ণিঝড় এবার শীতের পথে কাঁটা ছিল। আপাতত সেরকম কোনও বাধা নেই। ফলে উত্তর পশ্চিম ভারতের কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া প্রবেশের পথ আপাতত অবাধ। ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি গড় তাপমাত্রা এবার স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকার সম্ভাবনা। নভেম্বরে গড় তাপমাত্রা ২০২৩ সালে স্বাভাবিকের থেকে বেশিই ছিল।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও শীতের সুখ উপভোগ করতে পারেননি বঙ্গবাসী। গায়ে সেভাবে চাপাতে হয়নি চাদর সোয়েটর। একের পর এক নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে শুকনো বাতাস ঢুকছেই না। ফলে নামছে না পারদ। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে বলে আশাবাদী আবহাওয়াবিদরা। আকাশ পরিষ্কার হলেই ঝলমলে রোদ বেরোবে, নামতে শুরু করবে তাপমাত্রা।