যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন! মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়ায় ধুলোর আস্তরণ সরে গেলে নতুন কোনও জিনিসের খোঁজ মিলে যায়। যেমনটা মিলল উত্তরপ্রদেশে বাগপতে। দুই চাটওয়ালা এবং তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে ধুন্ধুমার লড়াইয়ের মাঝে খোঁজ মিলল এই 'আইনস্টাইন' চাটওয়ালার। আপাতত নেটিজেনদের কাছে এ নামেই তিনি খ্যাত।
ভদ্রলোকের নাম হরেন্দ্র। এঁদের মারপিটের ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর থানায় এঁর যে ছবি তোলা হয়েছে তা রীতিমতো মিমের খোরাক জুগিয়ে চলেছে। এঁর চুলের স্টাইল দেখে অনেকেই মহান বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনের চুলের স্টাইলের সঙ্গে তুলনা করছেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই দলের লোকেরা যে যাকে পারছে পিটিয়ে চলেছে।
তবে এটাকে যদি ম্যাচ ধরা হয় তবে নিঃসন্দেহে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হরেন্দ্র। অনেককে বেধড়ক মারতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও এর মাঝে তিনিও লাঠির বাড়ি কম খাননি। হরেন্দ্র জানিয়েছেন প্রায় ৫০ বছরের দোকান তাঁর। তার সামনেই মাস দুয়েক আগে একটি নতুন চাটের দোকান খোলা হয়েছে। হরেন্দ্রর দোকানে কোনও ক্রেতা এলেই বাসি খাওয়ার দেওযা হচ্ছে বলে সামনে থএকে মন্তব্য করা হয়। এর ফলে অনেকে চাট কেনার তা ফেরত দিয়ে চলে গিয়েছেন। আগেও ৪-৫ বার এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ বার আর তিনি রেয়াত করেননি।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থইতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হরেন্দ্র-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে হরেন্দ্র মিমের ক্যারেক্টার হয়ে উঠেছেন। কেন এমন চুল প্রশ্নের উত্তরে হরেন্দ্র জানান, তিনি সাই বাবার ভক্ত। ২ বছর অন্তর একবার চুল কাটান এবং তা হরিদ্বারে বিসর্জন করে আসেন।
নানা ধরনের মিমের মধ্যে এই মিমটি অন্যতম সেরার তকমা পাচ্ছে। অেকে একে চাটের প্রথম লড়াই হিসাবে আখ্যা দিচ্ছেন। অনেকে লিখেছেন, অনুরাগ কশ্যপ যখন ঘটনার উপর ছবি বানাবেন তখন এই মিমটিকে পোস্টার করবেন।