Haunted Place: এই পুরনো ইমারত থেকে আজও ভেসে আসে ঘুঙুরের শব্দ। ধুপধুনোর গন্ধ পান এলাকাবাসী। আর গরমকালে আম-কাঠালের সুবাস। এই বাড়িকে ঘিরে হাজারও কাহিনি ছড়িয়ে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নেই নেই করে আড়াইশো বছরের পুরনো এই বাড়ি। বিভিন্ন সময়ে বাড়ির বিভিন্ন অংশ তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ছাঁট মাল বেচে ২০০ কোটি টাকা ঘরে তুলল পূর্ব রেল, বৃদ্ধি ৮০ শতাংশ
শান্তিপুর শহর অন্তর্গত বাগআঁচড়া গ্রামের বসু পরিবারের কথা অনেকের কাছেই অজ্ঞাত। আজ সে ঐতিহাসিক বাড়িটির দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জানালা ও দরজায় লতানো গুল্মে ভরে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঁথির মোড়ে 'বুর্জ খলিফা' ৫০ টাকায়! শেষ হওয়ার আগে কিনে ফেলুন
সেই বাড়িটিতেই বসবাস ছিল বেলুড় মঠের নবম প্রেসিডেন্টের। যিনি সবার কাছে মাধবনান্দ মহারাজ নামে সুপরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে তাঁর ভাই ছিলেন শ্রীদয়ানন্দ মহারাজ।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব, তিনজনে মিলে সংসার করছেন জমিয়ে
জানা গিয়েছে, বাংলায় যখন বারো ভূঁইয়াদের রাজত্ব চলছিল, ঠিক সেই সময়ে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লবঙ্গ-হলুদ এবং... শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখতে কিছু সহজ আয়ুর্বেদিক উপায়
এই পরিবারের সদস্য অঞ্জন বসু সরকারি আধিকারিক। এই বাড়ির নির্মাতা হলেন বৈদ্যনাথ বসু। যার নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের ধাত্রীভূমি, রেখায়-লেখায় ধরা বাঙালি শিল্পীর পেনসিলে
অন্যদিকে, এই বাড়িতেই অবস্থিত বেলুড় মঠের একটি শাখা অর্থাৎ রামকৃষ্ণ মিশন।
অঞ্জন বসু সরকারি আধিকারিক। এছাড়াও এই বাড়ির হেমচন্দ্র বসু ছিলেন মুঙ্গের কোর্টের বিচারপতি পদে আসীন ছিলেন।
এই বাড়িতে লোহার কৃষ্ণমূর্তি, প্রচুর পিতল কাঁসার বাসন , মূল্যবান খাট, বইপত্র সহ অনেক কিছুই চাপা পড়ে আছে বলে জানাচ্ছেন এলাকা বাসি কৈলাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও জানা যাচ্ছে, মাঝে মধ্যেই নাকি রাতে ঘুঙুরের শব্দ পাওয়া যায়, ধূপধুনোর গন্ধ আসে।
আর গরমকালে আসে আম-কাঁঠালের গন্ধ। তবে বাড়িটির একটি অংশ বেলুড় মঠের নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার পার্বণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানালেন এই বাড়ি থেকে শুরু করে এলাকাবাসী।
একটা বড়, একটা মাঝারি একটা ছোট ঘর মিলিয়ে সেখানে রয়েছে একটি স্কুল।
সেখানকার বাসিন্দা মনীষা দত্ত জানান, অনেকে বলেন, শুনেছি, আওয়াজ পাওয়া যায়। কৈলাস বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন অঞ্জনবাবু। সেখানে মা-শিশুদের নিয়ে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান হয়। তবে এখন কোভিডের কারণে সে-সব বন্ধ রয়েছে। বাড়ির নীচে ছিল পোস্ট অফিস। এখন সেটা পঞ্চায়েতে উঠে এসেছে। কারণ সেখানকার ভগ্ন দশা।