দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমতেই হিমাচলপ্রদেশের পর্যটনস্থলগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই।
সিমলা থেকে কুলু-মানালি, ধর্মশালার সব জায়গাতেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সোশ্যাল ডিসেটেন্সিং তো দূর, কারও মুখে মাস্কের বালাই পর্যন্ত নেই।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে তীব্র গরম পড়েছে। করোনার প্রকোপ কমেছে, ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। আর তার ফলশ্রুতি ভয়বাহ করোনার কথা ভুলে সিমলা-কুলু মানালিতে এখন পর্যটকদের ভিড় সামলানো যাচ্ছে না।
সিমলাতে তো সব হোটেল পর্যন্ত বুক হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
রাজধানীতে লকডাউন কার্যত উঠে যেতেই দিল্লিবাসী ভিড় জমিয়েছে সিমলাতে। আর এই বিষয় নিয়েই ট্রোলে ভরিয়েছেন নেটিজেনরা।
এতদিন ছিল হাসপাতালে জায়গা নেই, এখন হয়েছে হোটেলে জায়গা নেই--এই ধরনের জোকসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে গিয়েছে। হ্যাশট্যাগ সিমলা, মানালি (#Shimla, #Manali) টুইটারে ট্রেন্ড করছে।
শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকেও পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন সিমলা, কুলু-মানালি, ডালহৌসি, সহ নানা ট্যুরিস্ট স্পটে।
ওই সব জায়গায় ভিড় দেখে মনেই হচ্ছে না দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে হাসপাতালে তিল ধারনের জায়গা ছিল না।
অক্সিজেনের হাহাকারে ভুগছিল মানুষ। শ্মশানে মৃতদেহের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল।
নদীতে কোভিডে মৃতদের দেহ ভাসতেও দেখা গিয়েছে।
সামনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের খাঁড়া ঝুলছে। এখনও দ্বিতীয় ঢেউ পুরোপুরি সামলে ওঠা যায়নি। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নেওয়া আছে দেশে এমন মানুষের সংখ্যাও কম। তার মাঝেই কোভিড প্রোটোকল শিকেয় তুলে চলছে পিকনিক, উইকএন্ড কাটানো, ঘোরাঘুরি।
মানালির ম্যালে রবিবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের ভিড়ের যে ছবিটা এসেছে তা দেখলে চমকে যেতে হয়।
সিমলা, কুলু মানালির হোটেল ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও এভাবে চললে তৃতীয় ঢেউ আর আটকে রাখা সম্ভব নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।