শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চলছে। সঙ্গে ক্রমেই ভারত বিরোধী মন্তব্য করছেন বিএনপি-সহ বাংলাদেশের একাধিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা। অনেকেই খোলাখুলি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাকও দিয়েছেন। একধাপ এগিয়ে চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যরা। চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব। ইস্টার্ন কমান্ড, অসম দখল করে নেব। বাংলাদেশের রাজপথে ভারত বিরোধী মিছিল থেকে এমনই দাবি করেছিল প্রাক্তন বাংলাদেশি সেনারা। একজন বলেন, 'চারদিনের মধ্যে আমরা কলকাতা দখল করে নেব। ভারত তো দূরের কথা, আমেরিকাও আমাদের সঙ্গে টিকবে না।'
অন্যদিকে কলকাতা এবং আগরতলার পাশাপাশি সেভেন সিস্টার্স দখল করার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর এসব মন্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বইছে। রীতিমতো হাসাহাসি শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
বাংলাদেশের যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে হাসি মশকরা চলছে দেদার। নানা লোকে নানা ছবি পোস্ট করে মজা করছেন। কেউ কেউ ফেসবুক, টুইটারে মজা করে পোস্টও করছেন।
দেখে নিন কয়েকটি ছবি যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ছবি পোস্ট করে এক ফেসবুক ইউজার লিখেছেন, 'বাংলাদেশের কিছু অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। ৫ নাম্বার যুদ্ধের অস্ত্র টার নাম কি কারো জানা থাকলে একটু জানাবেন কমেন্টে।'
দলছুট শঙ্খচিল নামে একজন লিখেছেন, 'বাংলাদেশকে গোটা বিশ্ব এখন ভয় পায়, কারণ বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন কিছু অস্ত্র বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যেমন-ফাটা বাঁশের বন্দুক, কলা গাছের সাবমেরিন, কদম গাছের তৈরি ১২০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল, রিক্সার ট্যাঙ্কার, বাইকের ফাটা টিউব দিয়ে তৈরি ডেস্ট্রয়ার সর্বোপরি ইউনিস জি-২৪ নামক এক মারণ অস্ত্র সহ আরও অনেক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, এইসব দেখে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের থেকে প্রযুক্তি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
এদিকে, বুধবার থেকে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (Bangladesh National Party)। এই লংমার্চের নাম দেওয়া হয়েছে 'ঢাকা টু আখাউড়া লং মার্চ'। বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতারা। পদযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। সম্প্রতি ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী আজ আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। রিজভি বলেন, 'আপনারা যদি চট্টগ্রাম দখল করেন, তাহলে আমরা বিহার ও ওড়িশা চাইব, কারণ সবই আমাদের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার।'
ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত এই মিছিল নিয়েও চলছে বিরাট খিল্লি। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, 'কলকাতা,বিহার, ওড়িশা বলে পেছনের দিকে আগরতলা অভিযান কেন? তারমানে কলকাতা পুলিশকেও বাংলাদেশিরা ভয় পায়।'