Advertisement

বড় সাফল্য পিরামিডের দেশে, উদ্ধার ১০০টি মমি

বন্ধ হওয়া তিনটি করবস্থানে কাঠের কফিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কায়রোর দক্ষিণে সাকারার নেক্রপোলিসের কাছে। সেখানে ১০০টিরও বেশি সারকোফাগি উদ্ধার হয়েছে অক্ষত অবস্থায়।

কাছে ১০০টিরও বেশি সারকোফাগি উদ্ধার হয়েছে অক্ষত অবস্থায়। Photo: AFP
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 17 Nov 2020,
  • अपडेटेड 1:00 PM IST
  • কাছে ১০০টিরও বেশি সারকোফাগি উদ্ধার হয়েছে অক্ষত অবস্থায়।
  • সারকোফাগাস একটি পাথরের কফিন যা প্রাচীন মিশরীয় ভাস্কর্য বা শিলালিপি দ্বারা সজ্জিত
  • আড়াইশো বছরের পুরনো ৫৯টি কফিন উদ্ধার করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা

মিশর মমির দেশ। ইতিহাসের গন্ধে ভরপুর এই শহর পিরামিডেরও। কিন্তু  সে সব তো অনেক পুরনো কথা। তবে এবারে যা ঘটল তা স্থানীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে আদি মিশরে। শনিবার কায়রোর দক্ষিণে সাকারার নেক্রপোলিসের কাছে  ১০০টিরও বেশি সারকোফাগি উদ্ধার হয়েছে অক্ষত অবস্থায়। সারকোফাগাস একটি পাথরের কফিন যা প্রাচীন মিশরীয় ভাস্কর্য বা শিলালিপি দ্বারা সজ্জিত। 

মিশরে কী উদ্ধার হয়েছে?

AFPর রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্ধ হওয়া তিনটি করবস্থানে কাঠের কফিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কায়রোর দক্ষিণে সাকারার নেক্রপোলিসের কাছে। প্রাথমিকভাবে ঐতিহাসিকরা মনে করছেন, প্রচীন মিশর সভ্যতার শেষ পর্যায়ের এবং বিশেষ করে টলেমাইক যুগের।

কফীনের মধ্যে কী পাওয়া গিয়েছে?

তবে এতগুলো কফিনের মধ্যে কেবলমাত্র একটিই খোলা হয়েছে। সেখান থেকে একটি মমিও উদ্ধার করা হয়েছে। হায়ারোগ্ল্যাফিক ছবিতে সাজানো বেশিরভাগ কফিন। প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে, মৃতদেহগুলি সকারার। প্রাচীন মিশরের রাজধানী মেমফিসের হল সাকার। বর্তমানে ইউনেস্কোর হেরিজেট সাইটও বটে। 

কিছুমাস আগে ওই জায়গা থেকেই আড়াইশো বছরের পুরনো ৫৯টি কফিন উদ্ধার করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। AFP-র রিপোর্ট অনুযায়ী, খালেদ আল-অন্নি, প্রত্নতাত্ত্বিক ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, "সাকারা এখনও সমস্তটা প্রকাশ করতে পারেনি। এখানের রহস্য আজও সামনে আসেনি। খনন চলছে। যখনই আমরা সরোকফাগির সমাধিস্থল খালি করি, তখন আমরা অন্য একটি প্রবেশ পথের সন্ধান পাই।"

আর কী পাওয়া গিয়েছে মিশরে?

বন্ধ কফিন ছাড়াও পুরাতাত্ত্বিক নির্দশন মিলেছে। প্রায় ৪০টি দেব দেবীর মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি মিশরের বিভিন্ন যাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক মূর্তি জায়গা করে নিয়েছে মিশরের গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে। এদিন যা যা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তাতে মনে হয় করোনা কালেও পর্যটকদের ফারাওদের দেশে যাওয়ার উৎসাহ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে। 
 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement