Advertisement

পোশাকের জন্য গ্রেফতার এই জনপ্রিয় মডেল, মারধরও করা হয় তাঁকে

৩৬ বছরের ওই মডেলের নাম নূর সাজাত কামারুজ্জামান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্টই জনপ্রিয়। তিনি একজন মডেল। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে মাইগ্রেট হয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিজাব পরার জেরে তৈরি হয় বিতর্ক। যার জেরে তাঁকে ফের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে হয়। যদিও মালয়েশিয়ার তরফে নূরকে দ্রুত প্রত্যার্পণের দাবি জানানো হয়েছে। যদি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলে এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁর ৩ বছরের সাজা হতে পারে। 

নূর সাজাত কামারুদ্দিন
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 20 Nov 2021,
  • अपडेटेड 12:11 AM IST
  • ইসলামকে অবমাননার অভিযোগ
  • মডেলকে গ্রেফতার মালয়েশিয়ায়
  • পালাতে বাধ্য হলেন ওই মডেল

মালয়েশিয়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিজাব পরার জেরে এক রূপান্তকামী মডেলকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইসলামকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। শেষে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে হয়। 

৩৬ বছরের ওই মডেলের নাম নূর সাজাত কামারুজ্জামান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্টই জনপ্রিয়। তিনি একজন মডেল। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে মাইগ্রেট হয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিজাব পরার জেরে তৈরি হয় বিতর্ক। যার জেরে তাঁকে ফের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে হয়। যদিও মালয়েশিয়ার তরফে নূরকে দ্রুত প্রত্যার্পণের দাবি জানানো হয়েছে। যদি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলে এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁর ৩ বছরের সাজা হতে পারে। 

ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে একটি ধার্মিক অনুষ্ঠানে হিজাব পরে গিয়েছিলেন নূর। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। তারপরেই বিতর্ক শুরু। মালয়েশিরা আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইসলামের আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ কখনওই মহিলদের পোশাক পরতে পারেন না। নূরকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। JAIS আধিকারকিরা যে তাঁর ওপরে হামলা চালিয়েছিলেন সেই বিষয়টি বিবিসিকে জানান নূর। আর তারপর সেখান থেকে পালানো ছাড়া তার কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না বলেও জানান তিনি। 

নূর জা জানান...
নূর জানান, "আমাকে পালাতে হয়েছিল। আমার সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হয়। আমার বাবা মায়ের সামনে আমায় মারধর করা হয়। ধাক্কা দেওয়া হয়। হাতকড়া পরানো হয়েছিল। আমায় হেনস্থা সহ্য করতে হয়েছিল। আমি তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলাম, কিন্তু তারপরেও এমনটা করা হয়।" তিনি আরও বলেন, "তাঁরা আমাকে একজন রূপান্তরকামী মহিলা ভাবতেন বলেই হয়ত এমনটা করেছিলেন। কিন্তু রূপান্তরকামী মহিলাদেরও আবেগ থাকে। আমাদেরও সাধারণ মানুষের মতো বাঁচার অধিকার আছে।" 

Advertisement

তবে মালয়েশিয়ার ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ের মন্ত্রী ইদ্রিস আহমেদ বলেন, "যদি তিনি দেশে এসে নিজের দোষ স্বীকার করতে তৈরি থাকেন তাহলে কোনও সমস্যা নেই। আমরা তাঁকে সাজা দিতে নয় শিক্ষিত করতে চাই।" 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement