Advertisement

দেড় বছর ধরে বিছানায় পড়ে দেহ, নেই দুর্গন্ধ, কানপুরে শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড

দেড় বছর বিছানায় শুয়ে লাশ, দুর্গন্ধ বের হল না কেন, ধন্দে চিকিৎসকরাও। বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। হইচই গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। এমনকী

কানপুরে দেড় বছর ধরে আয়কর আধিকারিকের লাশ পড়ে থাকল বিছানায়কানপুরে দেড় বছর ধরে আয়কর আধিকারিকের লাশ পড়ে থাকল বিছানায়
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 25 Sep 2022,
  • अपडेटेड 7:50 PM IST
  • দেড় বছর ধরে বিছানায় পড়ে দেহ
  • দুর্গন্ধ কীভাবে রোখা গেল তা নিয়ে গবেষণা শুরু
  • কানপুরের ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ

দেড় বছর ধরে ঘরের মধ্যে পড়েছিল আয়কর অফিসারের লাশ। যে বিষয়টি এখন গোটা দেশে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি জানার পর অবাক হয়ে গিয়েছেন প্রতিবেশীরাও। দেড় বছর ধরে বাড়িতে লাশ থাকার পরেও কেন দুর্গন্ধ বেরোয়নি তা  মাথায় ঢুকছে না কারও।

দুর্গন্ধ আটকাল কীভাবে?

আরও পড়ুন

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। আযকর অফিসার বিমলেশ কুমারের লাশ নিয়ে এখন গোটা উত্তরপ্রদেশ তোলপাড়। সোস্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কানপুরের পিএমও অলক রঞ্জন জানিয়েছেন যে, তাঁরা আয়কর দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি দল পাঠিয়ে ডেডবডি পরীক্ষা করিয়েছেন। এ বিষয়টিও সামনে এসেছে যে, তাঁর পরিবারের লোকজন এটা মনে করে যে, বিমলেশ জীবিত। তাই ঘরে দেড় বছর দেড় বডি রেখেছিলেন। ডেড বডি থেকে দুর্গন্ধ না আসার কারণ তাঁরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, হতে পারে দুর্গন্ধ বেরিয়েছে কিন্তু বাড়ির লোকজন সুগন্ধি বা ওই জাতীয় কিছু ছড়িয়ে সেই দুর্গন্ধ চাপা দিয়েছিলেন।

মৃতদেহ গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার করতেন বাড়ির লোকেরা

জানা গিয়েছে যে পুলিশ ইনকাম ট্যাক্স আধিকারিক বিমলেশের লাশ হসপিটালে নিয়ে যায়। যেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান যে দেড় বছর আগে তার মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। যা সামনে আসার পর অবাক সকলে। মেডিকেল কলেজ জিএসবিএম কানপুর এখন এই বিষয়টি নিয়ে পুরো কেস স্টাডি করছে। এ বিষয়টিও সামনে এসেছে যে বাড়ির লোকজন লাশ গঙ্গাজল এবং ডেটল দিয়ে মুছতেন।

ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল

রোশননগরের বাসিন্দা বিমলেশ কুমার ইনকাম ট্যাক্সে কার্যরত ছিলনে। তিনি এপ্রিল ২০২১-এ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরে হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজন তারা বাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে আসেন এবং সৎকারের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। আচমকা পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিমলের জ্ঞান ফিরেছে। তাই সৎকার বন্ধ করে তারা ঘরে নিয়ে গিয়ে খাটে শুইয়ে দেন। বিমলবাবু দেড় বছর ধরে সে রকম ভাবেই ছিলেন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement