ধনী হওয়া বোরিং! অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন এক যুবক। ওই যুবক জানাচ্ছেন যে, তিনি তাঁরা সারাজীবনের সঞ্চয় বিটকয়েনে (Bitcoin) নিয়োগ করেছেন। যার জেরে তিনি ধনীও হয়ে যান। কিন্তু তাঁর মতে, ধনী হওয়া খুবই বোরিং। ওই যুবক জানাচ্ছেন, তাঁর মনে হচ্ছে তিনি সমস্ত কিছু যেন জালিয়াতি করে অর্জন করেছেন। তিনি এর যোগ্য নন। এই সমস্ত টাকা তিনি পরিশ্রম করে রোজগার করেননি।
ওই যুবক জানাচ্ছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে কাজ করছেন। যার জেরে তিনি প্রচুর টাকাও রোজগারও করেছেন। এমনকী একটা সময় তিনি মাসে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেছেন। যদিও নিজের বেতনের বেশিরভাগটাই তিনি সঞ্চয় করতেন।
একটি ব্রিটিশ সংবাদ ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিটকয়েনের বিষয়ে জানে পারেন ওই যুবক তিনি তাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। এই বিষয়ে ওই যুবক জানাচ্ছেন, প্রথমে ক্রিপ্টো (Cryptocurrency) তাঁর ঝুঁকিপূর্ণ লাগতো, তবে এতে বিনিয়োগ করলে লাভেরও বেশ সুযোগ থাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
বিনিয়োগকারী যুবক জানাচ্ছেন, দেড় বছরের মধ্যে তিনি নিজের প্রায়সমস্ত সঞ্চয় বিনিয়োগ করে দেন। তবে তাঁর উপলব্ধি যে, সেই সমস্ত কিছু মূর্খতা ও পাগলামো ছিল। যদিও খুব শিঘ্রই তিনি এর থেকে ভাল লাভ পান। ২০১৭ সালে তিনি এর থেকে ২০ কোটি টাকা পান।
সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট Reddit-এ নিজের পরিচয় গোপন রেখে তিনি ধনী হওয়ার উপলব্ধি শেয়ার করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন যে, ২০১৭ সালে ক্রিপ্টো থেকে কোটি কোটি টাকা রোজগারের পর তিনি তাতে আরও বিনিয়োগ করেন। এরপর ২০১৯ সালে ২ বিলিয়ন ৬২ কোটি টকারও বেশি রোজগার করেন তিনি। কিন্তু এতে তাঁর জীবনযাত্রা বদলে যায়। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তাঁর মনে হয় যে তিনি এত টাকা রোজগার করে নিয়েছেন যে তাঁর কাজ থেকে ব্রেক নেওয়া উচিত। আর তারপর তিনি ঘুরে বেড়াতে থাকেন।
এখন যুবক জানাচ্ছেন যে, এতো টাকা রোজগার করে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং প্রচুর ঘুরে বেড়ান। তবে কাজ করে জীবনে যে উৎসাহ পাওয়া যেত তা এখন আর পাওয়া যায় না। ওই যুবকের মতে, তাঁর জীবন বোরিং হয়ে গিয়েছে। যুবক আরও জানাচ্ছেন যে এখন তিনি যেকোনও জিনিস কিনতে পারেন, কিন্তু নিজের পুরনো সময়টাকে আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।