আফ্রিকার বতসোয়ানায় এমন এক খনিজের বিষয় জানতে পেরেছেন বৈজ্ঞানিকেরা যা আগে কখনও দেখা যায়নি। একটি হিরের মধ্যে সেই খনিজটিকে পাওয়া গিয়েছিল। সোনা, রুপো বা হীরের চেয়েও এই খনিজ মূল্যবান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোট অনুযায়ী, কয়েক দশক আগে বতসোয়ানার Orapa খনিতে পাওয়া গিয়েছিল হীরেটি। সেটি নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা চলান খনিজ বৈজ্ঞানিক Oliver Tschaune। হীরেটি ৪ মিলিমিটার চওড়া এবং সেটির ওজন ৮১ মিলিগ্রাম।
১৯৮৭ সালে একজন হিরে ব্যবসায়ীর এটি এক বৈজ্ঞানিককে বিক্রি করে দেন। তবে কখন সেটির বিশেষত্ব কেউ বুঝতে পারেননি। বর্তমানে হিরেটি ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে। সেটি নিয়ে গবেষণা করেন লাস ভেগাসের নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
প্রখ্যাত Geophysicist Ho-Kwang (Dave) Mao-এর নামানুসারে এই খনিজটির নাম রাখা হয়েছে ডাভমাওইট (Davemaoite)। এই খনিজটি পৃথিবীতে মেলা উচ্চ-চাপের ক্যালসিয়াম সিলিকেট পেরোসাইটের (CaSiO3) প্রথম উদাহরণ। পৃথিবী পৃষ্ঠের ৬৬০ কিলোমিটার নিচে ছিল হিরেটি। তার মধ্যে মিলেছে ক্রিস্টালের মতো এক ধরণের খনিজ, যা দেখে অবাক বৈজ্ঞানিকেরা।
হীরের মধ্যে প্রথমবার পাওয়া গেল এই ধরণের খনিজ
CaSiO3-র একটা অন্যরূপ হল Wollastonite, যা মোটামুটি সারা পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। কিন্তু Davemaoite-এর একটি স্ফটিক কাঠামো রয়েছে যা শুধুমাত্র পৃথিবীর উচ্চ চাপ এবং উচ্চ তাপমাত্রা যুক্ত অংশেই হয়। এটি ভূ-রাসায়নিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। পৃথিবীর ম্যান্টলে এই খনিজ প্রচুর পরিমানে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও বৈজ্ঞানিকে এর অস্তিত্বের প্রমাণ কোনওদিন পাননি।
এই হিরাটির বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে যে এরমধ্যে থাকা অজানা খনিজটি ডাভমাওইটের একটি নমুনা মাত্র। আন্তর্জাতিক খনিজ সংঘ এটিকে নয়া এক খনিজ হিসেবে নিশ্চিত করেছে। ডাভোমাইটের আবিষ্কারকে একটি আশ্চর্য বলে আখ্যা দিয়েছেন Oliver Tschaune।