Advertisement

Chair Of Death: এই চেয়ারে বসলেই খানিক বাদেই মৃত্যু, ৩২০ বছর ধরে মিউজিয়ামে রাখা

Chair Of Death: এই চেয়ারে বসলেই খানিক বাদেই মৃত্যু, ৩২০ বছর ধরে মিউজিয়ামে রাখা। এখনও পর্যন্ত যাঁরা বসেছেন সবাই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে অভিশপ্ত হল চেয়ারটি, আসুন জেনে নিই সেই সত্যিকারের রোমহর্ষক কাহিনী....

এই চেয়ারে বসলেই খানিক বাদেই মৃত্যু, ৩২০ বছর ধরে মিউজিয়ামে রাখাএই চেয়ারে বসলেই খানিক বাদেই মৃত্যু, ৩২০ বছর ধরে মিউজিয়ামে রাখা
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 24 Nov 2022,
  • अपडेटेड 11:43 AM IST
  • এই চেয়ারে বসলে, কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়
  • ৩২০ বছর ধরে চেয়ারটি রাখা মিউজিয়ামে
  • এক ব্যক্তিকে খুন করার পর অভিশপ্ত হয় চেয়ারটি

Chair Of Death: ১৮ শতকে ইংল্যান্ডে থার্স্ক (Thirsk) এ টমাস বাসবি (Thomas Busby) নামে এক ব্যক্তি থাকতেন। তার এক বন্ধু ছিল যার নাম ড্যানিয়েল অটি। বলা হয় যে এই দুজনেই নকল টাকা বানানোর অবৈধ কাজ করতেন। ড্যানিয়েল শুধুমাত্র টমাসের ভাল বন্ধু ছিল তাই নয় বরং তার মেয়ে এলিজাবেথের সঙ্গে টমাস বিয়েও করে। যার পরে দুজনে শ্বশুর এবং জামাই হয়ে পড়েন। পরে এই বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। কাজের পরে দুজনে একসঙ্গে থার্স্কে নিজেদের ফেভারিট বারে বসে জমিয়ে মদ্যপান করতেন। টমাস ওই বিষয়ে সবসময়ই একটাই চেয়ারে বসতেন। যেই চেয়ারের সঙ্গে তার বিশেষ সেন্টিমেন্ট জড়িয়েছিল। যদি কেউ ওই চেয়ারে বসে পড়ত, তাহলে তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া শুরু করত। এর পরে তাকে জবরদস্তি সেখান থেকে সরিয়ে নিজে বসে পড়ত। পরে ওই চেয়ার কত লোকের প্রাণ নিয়ে নেবে, এটা তখন পর্যন্ত কেউ আঁচও করতে পারেনি।

গল্পের শুরু হয় তখন ১৭০২ সালে

আরও পড়ুন

একদিন বারে কোনও বিষয় নিয়ে টমাস এবং ড্যানিয়েলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। লড়াই, মারামারি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এরপরে টমাসকে খ্যাপানোর জন্য ড্যানিয়েল তার পছন্দের চেয়ারে বসে পড়ে. টমাস এটা দেখে এতটা রেগে যায় যে সে ড্যানিয়েল কে খুন করে ফেলে।

কীভাবে অভিশপ্ত হল চেয়ারটি?

পুলিশ এই খুনের অভিযোগে টমাসকে গ্রেফতার করে। যার পরে শ্বশুরের হত্যা করার অভিযোগে টমাসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যেদিন টমাসের ফাঁসির দিন ছিল, ওই দিন তাকে তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার কথা বলা হয়। ফাঁসির আগে ওই ব্যক্তি নিজস্ব ইচ্ছা জাহির কর করে জানায় যে সে, ওই বারে রাখা নিজের ফেভারিট চেয়ারে বসে শেষবার খাবার খেতে চায়। এই ইচ্ছা মেনে নেওয়া হয় এবং শেষবার তাকে সেই চেয়ারে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। খাবার শেষ করার পর সেখানে দাঁড়ায় এবং বলতে শুরু করে তার মৃত্যু নিশ্চিত। যেই চেয়ারে বসার সাহস করবে, মারা যাবে। তখন থেকেই চেয়ারটি অভিশপ্ত হয়ে পড়ে।

Advertisement

চেয়ারে যাঁরা বসেছেন, তাঁদের মৃত্যু

মিডিয়াম ডটকম এর বক্তব্য অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রয়েল এনফোর্স এর দুই পাইলট যখন ওই বারে আসেন, তখন ওই চেয়ারে বসে পড়েন। এরপরে যখনই দুজন বার থেকে বাইরে বের হন তখন একটি গাড়ি অ্যাকসিডেন্টে তাঁদের মৃত্যু হয়ে যায়। এরপরে যে ব্যক্তি ওই চেয়ারে বসেছেন রহস্যময় ভাবে তাদের সবার মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। লাগাতার হতে থাকায় মৃত্যুর কারণে বারমালিক ওই চেয়ার বার থেকে গুদামে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এখানেও ওই পেয়ারের অভিশাপ কিছু ছাড়েনি।

থার্সকে মিউজিয়ামে রাখার রয়েছে সেই চেয়ার

একবার গুদামের কিছু জিনিসপত্র রাখতে আসা ওয়ার্কার হাঁপিয়ে গিয়ে ওই চেয়ারে বসে পড়েছিলেন। এরপর এক ঘন্টার মধ্যে তার রোড অ্যাক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়ে যায়। এই ঘটনার পরে পাবের মালিক এই অভিশপ্ত চেয়ার থেকে মিউজিয়ামে দান করে দেন। মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ চেয়ারটিকে মাটি থেকে ৫ ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে রাখে। যাতে কেউ ভুল করেও চেয়ারে বসে না পড়েন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement