World's Most Expensive Car: আপনি দামি গাড়ির কথা শুনছেন। তা নিয়ে অনেক ছবি দেখেছেন বা ভিডিও-ও দেখেছেন। আপমার কাছে দুনিয়ার সেরা কোনও গাড়িও থাকতে পারে। তবে কি কখনও ভেবে দেখেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির দাম কত হতে পারে?
অডি থেকে বিএমডব্লিউ বা ফেরারি পর্যন্ত, আপনি বিলাসবহুল থেকে বিলাসবহুল গাড়ির কথা ভাবতে পারেন। একের পর এক গাড়ি রয়েছে। আপনি মাত্র ২ কোটি টাকা বা ২০ কোটি টাকার একটি গাড়ির কথা ভাবতে পারবেন! কেন এমন বলা হচ্ছে?
তার কারণ রয়েছে। আজ আমরা এমন একটি গাড়ির কথা বলতে যাচ্ছি যার দাম আপনার ভাবনার থেকেও বেশি। টাকার অঙ্ক শুনে চমকে যাবেন। আর বলা যেতে পারে, কেউ চাইলেও আর গাড়িটা সম্ভবত কেনা যাবে না।
১,১০৯ কোটি টাকার গাড়ি
এই গাড়িটি ১৯৯৫ সালের মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং এর দাম ১৪.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১,১০৯ কোটি টাকা)। আর এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি। এই গাড়ির নিলাম কোম্পানি আরএম সোদবি (RM Sotheby)।
তারা বলেছে যে মার্সিডিজ-বেঞ্জের রেসিং ডিপার্টমেন্ট এই ধরনের মাত্র দু'টি গাড়ি তৈরি করেছিল এবং এর নির্মাতার নামানুসারে এটির নাম দিয়েছে রুডলফ উহলেনহাট (Rudolf Uhlenhaut)। এই গাড়িটির নাম Mercedes-Benz 300 SLR Uhlenhaut Coupé।
দ্বিতীয় গাড়িটি মার্সিডিজের কাছেই থাকবে
এই গাড়িটির একটি মডেল কিনেছেন একজন প্রাইভেট কালেক্টর। যদিও তিনি কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি বিশেষ অনুষ্ঠানে এই গাড়িটিকে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য ব্যবস্থা করবেন। যদিও এই গাড়িটির দ্বিতীয় মডেলটি এখনও মার্সিডিজ-বেঞ্জের কাছে থাকবে এবং কোম্পানির যাদুঘরের শোভা আরও বাড়াবে।
ফেরারির চেয়ে তিনগুণ বেশি দামি
এএফপির খবর অনুযায়ী, এই গাড়িটি আরএম সোথেবি নিলামের জন্য তুলেছিলেন। জার্মানির মার্সিডিজ-বেঞ্জ মিউজিয়ামে ৫ মে বিশ্বের কিছু ক্লাসিক গাড়ি নিলামে তোলা হয়।
এই মার্সিডিজ গাড়িটির দাম ১৯৬২ সালের Ferrari 250 GTO-এর থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি। যা আগে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি। ফেরারির এই ১৯৬২ মডেলটি ৪৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা)-এ বিক্রি হয়েছিল।