বং গাই কিরণ দত্তের জনপ্রিয়তা কোনও টলিউড সেলেবদের থেকে কম কিছু নয়। জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে কম বেশি সকলেই চেনেন। কিরণ দত্ত সব ইউটিউবারদের মধ্যে অন্যতম। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিরণ বং গাই বলেই পরিচিত। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট হওয়া মাত্রই তার ভিউ ছাড়ায় লক্ষতে। স্বভাবতই আয়ও কম নয় কিরণের। তবে কিরণের যাবতীয় আয় তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকে না। তাহলে যায় কোথায়। সেই কথাও নিজেই খোলসা করেছেন কিরণ দত্ত।
রিয়্যালিটি শো দিদি নং ওয়ানে এসে কিরণের মা জানিয়েছেন তাঁর ছেলের সব টাকা আসলে কোথায় গিয়ে জমা হয়। কিরণের কথায়, প্রথমটায় বেশ আপত্তি ছিল মায়ের। তিনি বারে বারে ছেলেকে বুঝিয়েছিলেন লেখাপড়ায় মন দিতে। কলেজে ওঠার পরই পাল্টে যায় মা-ছেলের সেই চেনা দ্বন্দ্ব। শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিরণ জানিয়েছিলেন, হঠাৎই একদিন ঘুম ভেঙে উঠে তিনি দেখেন, তাঁর একটি ভিডিও ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ভিউ। তখনই তিনি স্থির করেন, ভিডিও তৈরিতেই নজর দেবেন। প্রথম উপার্জন হিসেবে তাঁর পকেটে আসে ৭ হাজার টাকা। তখন নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল না কিরণের। এ দিকে, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ছেলের আয় হচ্ছে দেখে ততদিনে কিরণের মায়ের দৃষ্টিভঙ্গীও বদলায়। তিনি নিজেই ছেলেকে জানান, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলটি লিঙ্ক করিয়ে দিতে। অর্থাৎ সোজা কথায়, ছেলের উপার্জনের টাকা কিরণের মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢুকবে।
মায়ের কথা কিন্তু আজও পালন করেন কিরণ। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা, গাড়ি-বাড়ি সব করলেও আজও তাঁর সব টাকা মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢোকে। প্রসঙ্গত, কিরণ দত্তকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাঁর মজাদার কনটেন্ট নেটিজেনদের মন জয় করেছে। ইতিমধ্যে সিনেমাও করে ফেলেছেন বং গাই। কলকাতা চলন্তিকা নামে এক সিনেমায় দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল কিরণকে। তাঁর ফ্যান ফলোয়ার্সদের সংখ্যা আচ্ছা আচ্ছা তারকাদেরও হার মানায়। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েই কিরণ নিজের ফ্ল্যাট-গাড়ি করেছেন।
কিরণ দত্ত যখন ইউটিউবে ভিডিও বানাতে শুরু করেছিলেন তখন বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। সেই সময় বলতে গেলে শূন্য থেকেই শুরু করেছিলেন তিনি। মজার মজার কনটেন্ট বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তে শুরু করেন তিনি। দিনরাত পরিশ্রম করে ভিডিও বানিয়েছেন। ধীরে ধীরে তার ভিডিও পছন্দ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। এখন কিরণ দত্তের নাম জাতীয় স্তরের ইউটিউবারদের সঙ্গেই নেওয়া হয়ে থাকে।