যে রেস্তোরাঁয় কাপ ডিশ ধুতেন, সেই রেস্তোরাঁরই মালকিন হয়ে বসলেন এক তরুণী। তাও আবার মাত্র আঠারো বছর বয়সে। ভাবতে পারছেন? তবে এই অবাক করা ঘটনাটি ভারতে নয়, ঘটেছে আমেরিকাতে। যে তরুণীর কথা আমরা আপনাদের জানাচ্ছি তাঁর নাম সামান্থা ফ্রাই। আমেরিকার ওহিওর বাসিন্দা তিনি। কী করে মাথায় এল এই আইডিয়া? সামান্থা নিজেই জানিয়েছেন তাঁর নিজের SUCCESS স্টোরি। 16 বছর বয়সে হাইস্কুলের পড়া শেষ করে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কলেজে ভর্তি হন। তখন থেকেই তাঁর মাথায় বিজনেস আইডিয়া এসেছিল। কিন্তু আইডিয়া এলেই তো আর হলো না। ফান্ড চাই। এই সময় থেকেই অল্প অল্প করে পকেট মানি জমাতে শুরু করেন সামান্থা। এইসময় শীতের ছুটিতে একটি রেস্তোঁরায় পার্ট টাইম কাজে নিযুক্ত হন তিনি। রেস্তোরাঁয় কাপ, ডিশ ধোয়ার কাজ শুরু করেন তিনি। তবে কিছুদিন এই কাজ করার পর ওই রেস্তোরাঁতেই রাঁধুনির কাজ শুরু করেন তিনি। এই সময় কলেজ ফান্ডে বেশকিছু টাকা বিনিয়োগও করেন তিনি। রেস্তোরাঁ থেকে পাওয়া মাইনে দিয়েই এই ফান্ডে বিনিয়োগ করেন সামান্থা। এই সময়ের মধ্যে সামান্থা জানতে পারেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক রেস্তোরাঁটি বিক্রি করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছেন। ব্যাস, এটা শুনেই নিজের স্বপ্নপূরণ করতে এবার রেস্তোরাঁটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন মালিকের কাছে। এই রেস্তোরাঁয় বিনিয়োগ করাই সবথেকে ভালো অপশন বলে মনে করেন তিনি। এরপরই রেস্তোরাঁর মালকিন বনে যান তিনি। যেহেতু তিনি এই রেস্তোরাঁতেই কাজ করতেন তাই রেস্তোরাঁর খুঁটিনাটি সবকিছুই জানা তার। কেমন লাগল খবরটি শুনে? আসলে জানেন তো, ইচ্ছাশক্তি থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব হয়। আর সেটাই মাত্র 18 বছর বয়সে করে দেখিয়েছেন আমেরিকার সামান্থা ফ্রাই।