পানীয় জলের স্বাভাবিক সরবরাহের দাবিতে শিলিগুড়ি বাইপাস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীদের সাথে রাস্তায় বসে সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানালেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায়।
এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বাইপাস রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁদের হস্তক্ষেপে ঘন্টাখানেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কথায় বলে জলেই মানুষের জীবন, কিন্তু শিলিগুড়ির সংলগ্ন ডাবগ্রাম ২ নং গ্রামপঞ্চয়েতের মধ্য শান্তিনগর ও চয়নপাড়া এলাকায় গত ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে ওই এলাকার মানুষ পানীয় জলের সংকটে ভুগছে।
অভিযোগ প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সময় ধরে ওই এলাকায় পানীয় জল সময়মত আসছে না। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে জল এলেও সেই জল পানের অযোগ্য। কারণ জলে নোংরা থাকছে। এবার এই অভিযোগ তুলে পথে নামলো এলাকাবাসী।
শনিবার পানীয় জলের দাবিতে শিলিগুড়ির বাইপাস রোড অবরোধ করে এলাকাবাসী। এদিন এই বিক্ষোভে রাস্তায় বসে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তীব্র বিরোধিতা করেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি তাই বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে এদিন পথে নামতে হয়েছে। তবে এদিন এই বিক্ষোভের জেরে রাস্তা বন্ধ অবরোধ হওয়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এদিন বিক্ষোভ থেকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ২৫ দিন থেকে মধ্য শান্তিনগরে পানীয় জল নেই। এ ছাড়াও কয়েকমাস থেকে চয়নপাড়ায় পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন এলাকার মানুষ। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো সত্ত্বেও কোনও হেলদোল নেই সরকারের।
যেখানে মানুষের জল পাওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সেখানে জলহীন এই সমস্ত এলাকার মানুষ। রিজার্ভার বসানোর জন্য মঞ্জুর হলেও এখন পর্যন্ত রিজার্ভার হয়নি। বাড়ি বাড়ি জলের কানেকশন দেওয়া হলেও তা দুর্নীতিপূর্ণ কারণ GI পাইপ দিয়ে সংযোগ হওয়ার কথা থাকলেও প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে ডাবগ্রাম ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেক এলাকায় পানীয় জল যাবে। তবে দীর্ঘদিন পুরোনো জলের পাইপ থাকায় সেই পাইপ পরিবর্তন করার জন্য এই সমস্যা হচ্ছে। তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর আধিকারিকদের কিছুটা সময় দিতে হবে। আসা করছি খুব শীঘ্রই এই পানীয় জলের সমস্যা মিটে যাবে।