প্রতি বছরের শীতের শুরুতে ওরা আসে আবার শীত শেষে ফিরে যায়। ওরা ভিন দেশ থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল। ফুলবাড়ি ব্যারেজে প্রতি বছরই প্রচুর বিদেশি পাখির ভিড় বাড়ে। তবে এবার তাদের গণনা শুরু করল বনদপ্তর।
সোমবার সকালে বন দপ্তরের সঙ্গে পাখি গণনায় অংশ নেয় বার্ড ওয়াচার সোসাইটি, অপটোপিক, ন্যাফ, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, মেটাকোচ ও জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাব সহ কয়েকটি পাখিপ্রেমী সংস্থা। এদিন পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে নৌকা নিয়ে ফুলবাড়ি ব্যারেজ সহ সংলগ্ন জলাশয়ে পাখি গণনা করা হয়।
প্রতি বছর শীতে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয় শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ব্যারেজে। আর এই পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় জমায় পর্যটকেরা। তবে এবছর করোনা বিধি লাঘু থাকায় পর্যটকের ভিড় কম। বিভিন্ন দেশের পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি বছরের মত এবছরও প্রতি বছরের মতো এবারও মঙ্গোলিয়া, তিব্বত, দক্ষিণ আফ্রিকা, সাইবেরিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখি এসেছে।
রুডি শেলডাক, রেড ফ্রন্টেট প্রচার্ড, গ্যডওয়াল, হুইসলিং ডাক, গ্রেটার হোয়াইট ফ্রন্টেট গুজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। তাই তাদের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গণনা শুরু করল বনদপ্তর। এদিন বন দপ্তরের কার্শিয়াং ডিভিশনের বাগডোগরা রেঞ্জ এই গণনার কাজ করে।
তবে বন দপ্তরের সাথে এই গণনায় অংশ নিয়েছে বার্ড ওয়াচার সোসাইটি, অপটোপিক, ন্যাফ, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, মেটাকোচ ও জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাব সহ কয়েকটি পাখিপ্রেমী সংস্থা। জানা গিয়েছে নৌকায় করে দূরবিনের মাধ্যে পাখি দেখে এই গণনার কাজ করা হচ্ছে।
অপটোপিকের সম্পাদক সন্তু বলেন, পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কত রয়েছে তা জানতে সোমবার গণনা করা হয়। কয়েক বছর থেকে ফুলবাড়ি ব্যারেজ এলাকায় পিকনিক বন্ধ সহ পাখিদের বিরক্ত করা বন্ধ হওয়ায় গত বছর থেকে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
অন্যদিকে বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ফুলবাড়ি ব্যারেজের এই এলাকা প্রতিবছরই প্রচুর বিদেশি পাখির আনাগোনা থাকে। এ বছর প্রায় ৯৫টি প্রজাতির পাখি রয়েছে।